জি এম ফাতিউল হাফিজ বাবু, বকশীগঞ্জ থেকে
বাংলারচিঠিডটকম
জামালপুরের বকশীগঞ্জে আগামী শীত মৌসুমে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব বৃদ্ধির আশঙ্কা করা হচ্ছে। এর কারণ হিসেবে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় বিজ্ঞজনরা।
জানা গেছে, সারা বিশ্বে করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে যখন মানুষের স্বাভাবিক কার্যক্রম বিপর্যস্ত হয়েছে তখন পিছিয়ে নেই বকশীগঞ্জ উপজেলাতেও। গত মার্চ মাস থেকে এ পর্যন্ত বকশীগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের ১৩৪ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর মধ্যে থেকে একজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। বাকি সবাই চিকিৎসা শেষে সুস্থ হয়েছেন।
গত কয়েক মাসে করোনাকালীন সময়ে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের কড়াকড়ির কারণে এ উপজেলায় করোনা শনাক্তের হার ছিল অন্যান্য উপজেলার চেয়ে অনেক কম। তবুও আশঙ্কা করা হচ্ছে আসছে শীত মৌসুমে করোনা শনাক্তের হার বৃদ্ধি নিয়ে। স্থানীয় বিজ্ঞজনদের ধারণা স্থানীয় প্রশাসন এখনই পদক্ষেপ না নিলে দ্রæত ছড়িয়ে পড়তে পারে করোনা রোগীর সংখ্যা।
বকশীগঞ্জ পৌর শহর, নঈম মিয়ার বাজার, জব্বারগঞ্জ বাজার, বাট্টাজোড় নতুন বাজার ও সারমারা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, মানুষ অবাধে চলাফেরা করছে। এসব হাট-বাজারগুলোতে সামাজিক দূরত্বের কোনো বালাই নেই। মানছে না কেউ স্বাস্থ্যবিধি। মানুুষের মুখে মাস্ক নেই বললেই চলে বরং অনেক সময় মাস্ক ব্যবহারকারীদের তিরস্কার করেন মাস্কবিহীন মানুষেরা। বকশীগঞ্জ উপজেলায় মাস্ক ব্যবহার শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে ফের করোনা শনাক্তের হার বাড়তে পারে।
‘এসডিজি জেলা নেটওয়ার্কের’ সভাপতি অধ্যাপক আফসার আলী এ প্রতিনিধিকে জানান, মানুষ যে হারে শহরমুখী হয়েছে এবং মাস্ক ছাড়া অবাধ বিচরণ করছেন তাতে মনে হয় আগামী দিনে আমাদের করোনা মোকাবেলা চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে।
বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি হেদায়েত উল্লাহ হোসনা এ প্রতিনিধিকে জানান, সাধারণ মানুষের মধ্যে এখনো করোনাভাইরাস সম্পর্কে পরিপূর্ণ সচেতনতাবোধ আসেনি। স্থানীয় প্রশাসন সজাগ হলে বা অভিযানে নামলে ভবিষ্যতেও করোনার হার কম থাকবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. প্রতাপ নন্দী এ প্রতিনিধিকে জানান, মানুষের মধ্যে করোনাভীতি থাকলেও মাস্ক ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু অসতর্কতা রয়েছে। আমরা এর থেকে উত্তরণে বরাবরই মানুষকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে জানান দিচ্ছি।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, আমি সম্প্রতি যোগদান করেছি। তবে করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা শিগগিরই মাঠে নামব।