ছিনতাইকারীর ক্ষুরের পোছে আহত ৫, গ্রেপ্তার ৪

ছিনতাইকারীদের ক্ষুরে পোছে গুরুতর আহত তিন রিকশাচালক। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর শহরের বিভিন্ন স্থানে ২৪ অক্টোবর একরাতে ছিনতাইকারীদের কবলে পড়ে চার রিকশাচালকসহ পাঁচজন গুরুতর আহত হয়েছেন। তারা সবাই ছিনতাইকারীদের ধারালো ক্ষুরের পোছে আহত হয়েছেন এবং তাদের সারাদিনের উপার্জিত সব টাকা-পয়সা ছিনতাই হয়েছে। তাদেরকে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পুলিশ ২৫ অক্টোবর শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করেছেন। এ ঘটনায় ২৫ অক্টোবর বিকেলে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর রাত ১১টার দিকে জামালপুর শহরের প্রধান সড়কের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের কাছে প্রথম ছিনতাইকারীদের কবলে পড়েন রিকশাভ্যানে করে সবজি বিক্রেতা মো. আনিছ (৪০)। তার বাড়ি জামালপুর শহরের কাজিরআখ এলাকায়। মোটরসাইকেলযোগে তিন ছিনতাইকারী আনিছের কিরশাভ্যান থামিয়ে তার কাছ থেকে প্রায় তিন হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয়। ছিনতাইকারীদের সাথে ধস্তাধস্তির সময় আনিছের পীঠে এবং বুকে ক্ষুর দিয়ে পোছ দিয়ে ছিনতাইকারীরা দ্রুত কেটে পড়ে। এ ঘটনার পর ২৪ অক্টোবর ভোররাত পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে আরো তিনজন রিকশাচালক ও এক যুবক ছিনতাইকারীদের ক্ষুরের পোছে গুরুতর আহত হয়েছেন। ছিনতাইকারীরা তাদের সবার কাছ থেকে টাকা-পয়সা ছিনিয়ে নিয়েছে।

ছিনতাইকারীদের ক্ষুরে আঘাতে আহত বাকি চারজন হলেন- জামালপুর শহরের রশিদপুর এলাকার আমজাদ হোসেনের ছেলে অটোরিকশা চালক রনজু (৩৫), শেরপুরের কলুরচর এলাকার ইয়াকুব আলীর ছেলে রিকশাচালক ফরহাদ আলী (৫০), পাথালিয়া এলাকার আলতাফ আলীর ছেলে অটোরিকশাচালক আব্দুল মজিদ (৪২) ও কাছারিপাড়া এলাকার নজরুল ইসলামের ছেলে সুইট। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত সুইটকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকি চারজন জামালপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এ দিকে আকস্মিক একই রাতে পাঁচটি ছিনতাইয়ের ঘটনায় শহরবাসীর মাঝে ছিনতাই আতঙ্ক বিরাজ করছে। এসব ছিনতাইয়ের ঘটনায় পুলিশ ২৫ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে চার ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। এ সব ঘটনায় সদর থানায় একটি মামলা দায়ের হয়েছে। ওই মামলায় চার ছিনতাইকারীকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৫ অক্টোবর বিকেলে তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করেছে সদর থানা পুলিশ।

গ্রেপ্তার ছিনতাইকারীরা হলো- জামালপুর শহরের শেখের ভিটা এলাকার জহিরুল হকের ছেলে নূরে আলম সিদ্দিকী (১৯), পাথালিয়া এলাকার নূরু নবীর ছেলে মোহাইমিনুল ইসলাম সজীব (২৪), একই এলাকার মো. আশরাফুল ইসলামের ছেলে আরেফিন ইসলাম সাদ (১৮) এবং বগাবাঈদ এলাকার মৃত খন্দকার সাইফুল ইসলামের ছেলে খন্দকার ফাহিম (১৮)।

জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সালেমুজ্জামান এ প্রতিবেদককে জানান, ২৪ অক্টোবর রাতে শহরের বিভিন্ন স্থানে ছিনতাই ও কয়েকজনকে ক্ষুর মেরে গুরুতর আহত করার ঘটনার সাথে জড়িত আটক চার যুবককে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।