জামালপুর সদর উপজেলায় ক্রমেই বাড়ছে করোনার রোগী

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদর উপজেলায় ক্রমেই বাড়ছে করোনার রোগী। ৬ আগস্ট জামালপুর জেলায় নতুন করে শনাক্ত ১২ জনের মধ্যে নয়জনই সদর উপজেলার বাসিন্দা। জেলার সাতটি উপজেলায় এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭০ জন। এর মধ্যে শুধু সদর উপজেলাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ৪২১ জন। বাকি ছয়টি উপজেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫৪৯ জন। জামালপুরের সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

সূত্রটি জানায়, জামালপুরের শেখ হাসিনা মেডিক্যাল কলেজের পিসিআর ল্যাবে ৫ আগস্ট বুধবার জামালপুর জেলার ৮৮টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। এর মধ্যে জেলায় নতুন করে ১২ জন করোনার রোগী শনাক্ত হয়েছে। তাদের মধ্যে জামালপুর সদর উপজেলায় রয়েছেন নয়জন, ইসলামপুরে দু’জন ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় রয়েছেন একজন। নতুন আক্রান্তদের মধ্যে সাতজন পুরুষ ও পাঁচজন নারী রয়েছেন।

৫ আগস্ট জামালপুর সদরে আক্রান্তদের মধ্যে জামালপুর জেলখানা হাসপাতালের একজন চিকিৎসক, জামালপুর সদর হাসপাতালের একজন সিনিয়র স্টাফ নার্স ও একজন স্বাস্থ্যকর্মীর এসএসসি পরীক্ষার্থী মেয়ে, জামালপুর পৌরসভার বন্দেরবাড়ি এলাকায় একজন কম্পিউটার প্রকৌশলী, দয়াময়ী এলাকার বাসিন্দা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ছাত্র, রানীগঞ্জ বাজার ও শেখেরভিটা এলাকায় দু’জন গৃহিনী, মৃধাপাড়ায় আমেরিকা ফেরত এক ব্যক্তি এবং দিগপাইত ইউনিয়নের দিগপাইত গ্রামের একজন আনসার সদস্য রয়েছেন। এছাড়া জেলার দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার পাররামরামপুর ইউনিয়নের বাঁশখালী গ্রামের একজন গৃহিনী, ইসলামপুর উপজেলার কাছিমারচর গ্রামে ও গোয়ালেরচর ইউনিয়নের মোহাম্মদপুর গ্রামে দুই যুবক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

এদিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে সংরক্ষিত জামালপুর জেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমণের হালনাগাদ পরিসংখ্যানের তথ্য থেকে জানা গেছে, জামালপুর জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় এ পর্যন্ত মোট করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ৯৭০ জন, সুস্থ হয়েছেন ৭৩৪ জন এবং ১৪ জন মৃত্যুবরণ করেছেন।

এর মধ্যে সদর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ৪২১, সুস্থ ৩১১ ও মৃত্যু ৩। এছাড়া ইসলামপুর উপজেলায় আক্রান্ত ১৫৫, সুস্থ ১১৮ ও মৃত্যু ২, সরিষাবাড়ীতে আক্রান্ত ১২০, সুস্থ ৮১ ও মৃত্যু ২, মেলান্দহে আক্রান্ত ৯৭, সুস্থ ৮১ ও মৃত্যু ৩, মাদারগঞ্জে আক্রান্ত ৫৬, সুস্থ ৪৩ ও মৃত্যু ২, দেওয়ানগঞ্জে আক্রান্ত ৪৫, সুস্থ ৩৪ ও মৃত্যু ১ এবং বকশীগঞ্জ উপজেলায় আক্রান্ত ৭৬, সুস্থ ৬৫ ও মৃত্যুবরণ করেছেন একজন। করোনায় আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক ও হোম আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ২২২ জন।