নকলার ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল শিক্ষার্থী

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরের নকলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাহিদুর রহমানের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেলো ১০ম শ্রেণিতে পড়–য়া এক শিক্ষার্থী। ৫ আগস্ট বিকালে গোপন খবরের ভিত্তিতে উপজেলার ২ নম্বর নকলা ইউপির ছত্রকোনা এলাকায় ওই বিয়ের আয়োজন চলছিল।

নকলা ইউএনও কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ছত্রকোনা এলাকার আক্তার হোসেনের কন্যা ও অঙ্কুর বিদ্যাপীঠের ১০ম শ্রেণির শিক্ষার্থীর সাথে একই এলাকার হাসেন আলীর বিয়ের আয়োজন চলছিল। এমন খবর পেয়ে বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির হন ইউএনও। এ সময় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক না হওয়া পর্যস্ত বিয়ে দিবেন না মর্মে কনের বাবা-মায়ের কাছ থেকে মুচলেকা আদায় করেন। সেই সাথে করোনাকালীন সময়ে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি না মানার দায়ে কনের বাবাকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও ইউএনও জাহিদুর রহমান বলেন, নকলাকে জেলার প্রথম বাল্যবিয়ে মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। এ উপজেলায় বাল্যবিয়ে সম্পর্কিত কোন আয়োজন বরদাস্ত করা হবেনা। আর ভবিষ্যতে এ ধরণের ঘটনা ঘটলে সংশ্লিষ্ট পরিবারের অভিভাবক ও বরসহ আয়োজকদেরকেও আইনের আওতায় আনা হবে বলে তিনি হুঁশিয়ারী দেন।