করোনা বন্যায় ইসলামপুরের বানভাসিরা চরম দুর্ভোগে

লিয়াকত হোসাইন লায়ন, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে ইসলামপুরে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে। একদিকে করোনা অন্যদিকে এক মাস ধরে বন্যা দুর্বিষহ জীবনযাপন করছে বানভাসিরা। বন্যার ও করোনার কারণে অনেকেই কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিতদের বিশুদ্ধ পানির অভাব ছড়িয়ে পড়েছে ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত রোগ।

জানা গেছে, বাহাদুরাবাদঘাট পয়েন্টে যমুনার পানি ২৯ জুলাই বিপদসীমার ৭০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এছাড়াও ব্রহ্মপুত্র সহ শাখা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে। তৃতীয় দফায় পানি বৃদ্ধির ফলে প্রায় এক মাস ধরে পানিবন্দি রয়েছে উপজেলার আড়াই লাখের বেশি মানুষ। বন্যা দুর্গত এলাকায় কর্মহীন মানুষদের ঘরে ঘরে চলছে খাদ্য সংকট।

এদিকে নলকূপ এবং পয়ঃনিষ্কাশণ ব্যবস্থা বন্যার পানিতে ডুবে থাকায় বিশুদ্ধ পানির সংকটের পাশাপাশি প্রাকৃতিক কাজকর্মে ব্যহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন বন্যা পানিতে অবস্থান করায় দুর্গত এলাকায় ডায়রিয়াসহ পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ত্রাণ বরাদ্দের পাশাপাশি ভিজিএফের চাল, নগদ টাকা ছাড়াও রুটি ও খিচুড়ি রান্না করে বন্যা দুর্গত এলাকায় বিতরন করা হচ্ছে। সেই সাথে দুর্গত এলাকায় পশু খাদ্যও বিতরণ করা হচ্ছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিতরণ করা ত্রাণে দুর্গত এলাকার চাহিদা মিটছেনা।

উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা চিকিৎসক এম আবু তাহের জানিয়েছেন, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ও বন্যার কারণে পানিবাহিত রোগের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় মেডিকেল টিম গঠন করা হয়েছে। দুর্গত এলাকাগুলোতে মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএম জামাল আব্দুন নাছের বাবুল জানান, আমরা বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুত রয়েছি। প্রতি নিয়তই বন্যার্তদের পাশে আছি ত্রাণ বিতরণের পাশাপাশি গো-খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম অব্যহত আছে।

এদিকে ২৯ জুলাই জেলায় দায়িত্বপ্রাপ্ত সচিব ও বিভাগীয় কমিশনার বন্যা দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছেন।