মেলান্দহে করোনায় আক্রান্ত এক যুবক উধাও!

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। গত ২৪ ঘন্টায় ৯ মে বিকেলে পাওয়া নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদনে জেলার মেলান্দহ উপজেলায় একজন নারী স্বাস্থ্যকর্মী ও এক যুবকের করোনা পজেটিভ এসেছে।

ছয়দিন আগে স্বেচ্ছায় নমুনা দেওয়ার পর থেকে ওই যুবক করোনার উপসর্গ নিয়েই উধাও হয়েছেন। তার সন্ধানে কাজ করছে জেলার সিভিল সার্জন কার্যালয় ও মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্যবিভাগ। এ নিয়ে জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০৬ জন। তাদের মধ্যে ৮ মে পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ৪৯ করোনাজয়ী।

জেলার মেলান্দহ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা (ইউএইচএফপিও) চিকিৎসক মো. ফজলুল হক এ প্রতিবেদককে জানান, ময়মনসিংহের পিসিআর ল্যাব থেকে ৯ মে বিকেলে পাওয়া প্রতিবেদনে দুই ব্যক্তির করোনা পজেটিভ আসে। তাদের মধ্যে একজন হলেন মেলান্দহ উপজেলার ফুলকোচা ইউনিয়নের ফুলকোচা কমিউনিটি ক্লিনিকের নারী সিএইচসিপি। তার বয়স ৩০ বছর। তিনি হোম আইসোলেশনে থাকবেন। একই সাথে তার কর্মস্থল ওই কমিউনিটি ক্লিনিকটির কার্যক্রম আপাতত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তার সংস্পর্শে আসা একজন স্বাস্থ্য পরিদর্শক ও একজন স্বাস্থ্য সহকারীর নমুনা ১০ মে সংগ্রহ এবং নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন না আসা পর্যন্ত এই দু’জনকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ৯ মে প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর থেকে করোনা পজেটিভ আসা ২৮ বছর বয়সের যুবকের দেওয়া ঠিকানা অনুযায়ী তাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তার দেওয়া মোবাইল নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। ওই যুবক ৪ মে করোনার উপসর্গ সর্দি, কাশি ও জ্বর নিয়ে স্বেচ্ছায় মেলান্দহ হাসপাতালে এসে নমুনা দিয়ে যান। তাকে খুঁজে বের করার জন্য তার বাড়ি মেলান্দহ উপজেলার আদ্রা ইউনিয়নের আলাইপাড় গ্রামে স্বাস্থ্যকর্মীদের পাঠানো হলে সেই ঠিকানায় তার কোন সন্ধান মেলেনি। ধারণা করা হচ্ছে ভুল নাম ঠিকানা ও ফোন নম্বর দিয়েছেন তিনি। নমুনা দেওয়ার পর থেকে নমুনা পরীক্ষার প্রতিবেদন আসার দিন পর্যন্ত গত ছয়দিন ধরে তিনি উধাও হওয়ায় তার সংস্পর্শে আসা ব্যক্তিদের মাঝে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে। তাই তাকে খুঁজে বের করার সম্ভাব্য সব রকমের চেষ্টা করা হচ্ছে।

এদিকে জেলার সিভিল সার্জন চিকিৎসক প্রণয় কান্তি দাস এ প্রতিবেদককে জানান, মেলান্দহের ওই যুবক উধাও হওয়ার বিষয়টি আমি জেনেছি। তাকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে। নতুন করে করোনায় আক্রান্ত দুই ব্যক্তিসহ জেলায় করোনায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাড়াল ১০৬ জন। তাদের মধ্যে ৮ মে একদিনে ৪০ জন এবং এর আগে ৯ জনসহ মোট ৪৯ জন করোনাজয়ী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন। ৪৯ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পর বর্তমানে প্রাতিষ্ঠানিক আইসোলেশনে ২০ জন এবং হোম আইসোলেশনে থাকা ৩৬ জন করোনার রোগীকে চিকিৎসাসেবাসহ তাদেরকে নিয়মিত পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

তিনি আরো জানান, ৯ মে পর্যন্ত জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ পিসিআর ল্যাবে করোনার পরীক্ষার জন্য মোট নমুনা পাঠানো হয়েছিল এক হাজার ৭৯২টি। এরমধ্যে ফলাফল পাওয়া গেছে এক হাজার ৫১৭টি। পরীক্ষার অপেক্ষায় রয়েছে ২৭৫টি নমুনা।