যমুনার দুর্গম চরে বাড়িঘরে হামলা, গরু ছাগল লুট

যমুনার দুর্গম চরে হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক পরিবারের শূন্য বাড়ি ও লুট হওয়া ঘরের অবস্থা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জাহিদুর রহমান উজ্জল, মাদারগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

যমুনার দুর্গম চরে একটি হত্যাকাণ্ডের জেরে নিরীহ কৃষকদের অর্ধশতাধিক বাড়িতে হামলা চালিয়ে কয়েকশ গরু, ছাগল ও ধান মরিচসহ ব্যাপক লুটতরাজের ঘটনা ঘটছে। বাড়িঘর ভেঙ্গে লুট করেছে মূল্যবান সম্পদ। এই হামলায় প্রাণ নিয়ে পালিয়ে গ্রাম ছাড়া প্রায় শতাধিক পরিবার আশ্রয় নিয়েছে পাশ্ববর্তী মাদারগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন চরাঞ্চলে।

ঘটনাটি ঘটেছে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চল শনপচায়। এই চরটি মাদারগঞ্জ সীমানায় বগুড়া জেলার সারিয়াকান্দি উপজেলার কুর্ণিবাড়ি ইউনিয়নের শনপচা (ডাকাতমারা চরের) হিসাবে পরিচিত। এই চরে বসাবাসরত মানুষ অধিকাংশ মাদারগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তারা নদীভাঙ্গনের শিকার হয়ে এই চরে কয়েক যুগ আগে থেকে বসবাস করে আসেছে।

হামলার শিকার শনপচা গ্রামের কৃষক ও ড্রেজার ব্যবসায়ী আহসান আলী, ওই ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সভাপতি খায়রুল মন্ডল ও আব্দুস সাত্তার ব্যাপারী জানান, একটি শালিশী বৈঠক নিয়ে ঘটনায় একটি সংঘর্ষ হয়। ওই সংঘর্ষে একজন নিহত হয়। এর জের ধরে শনপাচা চরের আশরাফুল, এনামুল এবং ও পাশ্ববর্তী নান্দিনাচরের লাঠিয়াল খোকা ফকিরের নেতৃত্বে কয়েকশ লোক দেশীয় অস্ত্র শস্ত্র নিয়ে ওই ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আজহার মন্ডলের লোকজনকে অকারণে দায়ী করে অতর্কিতে হামলা চালায়। এবং লোকজন প্রাণের ভয়ে পালিয়ে গেলে হামলাকারীরা তাদের প্রায় শতাধিক বাড়িতে থেকে গরু বাছুর, ছাগল, ধান চাল, মরিচ লুট করে নিয়ে যায়।

২৩ এপ্রিল সকালে ওই চরে সরজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কৃষকদের বাড়িঘর শূন্য অবস্থায় পড়ে আছে, প্রতিটি বাড়িতে হামলার চিহ্ন দেখা যায়। ঘরের সমস্ত আসবাব পত্রসহ ঘর গৃহস্থলির সব কিছু লুট করে নিয়ে যাওয়ার দৃশ্য চোখে পড়ে। অনেক নিরিহ লোকজন প্রাণভয়ে মাদারগঞ্জে চরাঞ্চলে আশ্রয় নিয়েছে।

এ ব্যাপারে নান্দিনা চরের অভিযুক্ত খোকা ফকিরের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাকে পাওয়া যায় নি।

এ ব্যাপারে বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আল আমীন জানান, ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে। এ পর্যন্ত ৩০টি গরু উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকদের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।