দেওয়ানগঞ্জের গ্রামের বাজারগুলোয় উপচেপড়া ভিড়, বাড়ছে করোনাঝুঁকি

বাঁশতুলী বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচেপড়া ভিড়। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

দেওয়ানগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জে লকডাউন উপেক্ষা করে সকাল বাজারগুলোয় ক্রেতা-বিক্রেতারা কোনোরূপ সামাজিক দূরত্ব মানছেন না। বাজারগুলোয় দেখা দেছে উপচে পড়া ভিড়। ফলে এসব এলাকায় বাড়ছে করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি। স্থানীয় গ্রামবাসীরা এর প্রতিকার চেয়েছে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে চলমান লকডাউন ও উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা জারি, জনসচেনতা ও জরিমানা করার পরও লোকজন সচেতন হচ্ছে না। মানুষ গাদাগাদি করে কেনাকাটা করায় করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছে। ১৯ এপ্রিল সকালে উপজেলার কাঠারবিল, মিতালী ও বাশঁতুলি বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় দেখা দেছে। তবে বেশি ভিড় দেখা গেছে বাশতুলি বাজার এলাকায়। এসব বাজারের ক্রেতা-বিক্রেতাদের বেশিভাগের মুখেই মাস্ক নেই।

পাররামরামপুর ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাঁশতুলি এলাকায় প্রায় চার হাজার পরিবারের বসবাস। এ ছাড়াও এ বাজারে বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে সকাল বাজারে। বাজারের জনসমাগম বৃদ্ধি থাকায় উপজেলা প্রশাসনকে বাজারটি মাঠে কিংবা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরানোর অনুরোধ করলে ইউএনও সুলতানা রাজিয়া বাজারটি ভাতখাওয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে সরিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু একদিন পরেই আবার রহস্যজনক কারণে আগের স্থানেই বাজার বসছে। এতে করে এলাকাবাসীর মাঝে তীব্র ক্ষোভ বিরাজ করছে।

স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক মো. রবিজল ইসলাম জানান, প্রতিদিন সকালে এ বাজারে শত শত মানুষের সমাগম ঘটে। বিধি-নিষেধ না মেনে লোকের উপড় গা ঘেঁষে ঘেঁষে কেনাকাটা করছে সবাই। স্থানীয় কৃষক সিক্কু মিয়া জানান, যেভাবে বাজারে লোকের সমাগম বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে এই এলাকার মানুষের যে কি অবস্থা হবে তা নিয়েই আমরা শঙ্কায় আছি। তিনি আরো জানান, প্রতি রাতেই ঢাকা থেকে ট্রাকে করে মানুষ আসতেছে এলাকায়। খুবই কঠিন হয়েছে যাচ্ছে এলাকায় থাকা।

এ প্রসঙ্গে দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া এ প্রতিনিধিকে জানান, এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।