শেরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফসহ করোনাভাইরাসের দুই রোগী শনাক্ত : ৫০টি বাড়ি লকডাউন

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর
বাংলারচিঠিডটকম

শেরপুরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক স্টাফসহ প্রথমবারের মতো করোনাভাইরাসের দুই রোগী শনাক্ত হয়েছে। এরা দুজনেই নারী। এদের মধ্যে একজন শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আয়া। তিনি স্থানীয় সাতানি এলাকার বাসিন্দা, অন্যজন সদর উপজেলার ভাতশালা ইউনিয়নের ছনকান্দা এলাকার গৃহবধূ। এ ঘটনায় ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ৮ সদস্যের নারী স্টাফের বাড়ি এবং ওই গৃহবধূর বাড়িসহ আশেপাশের অন্ততঃ ৫০টি বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে। আর উভয়ের পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। এদিকে নমুনা পরীক্ষায় করোনাভাইরাস শনাক্ত হওয়ার খবরে ওই দুই মহিলার নিজনিজ এলাকাসহ জেলায় করোনা আতঙ্ক নতুন মাত্রা যোগ হয়েছে।

৫ এপ্রিল রাতে সিভিল সার্জন চিকিৎসক এ কে এম আনওয়ারুর রউফ ওই তথ্য নিশ্চিত করে জানান, জ্বর, সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টসহ করোনা উপসর্গের কারণে ৪ এপ্রিল সদর উপজেলার ওই গৃহবধূ এবং শ্রীবরদী উপজেলার ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফসহ ৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে পাঠানো হয়। ৫ এপ্রিল রাত ৯ টার দিকে তাদের পরীক্ষার ফলাফলের মধ্যে ওই দুইজনের ফলাফল পজেটিভ আসে।

বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওই নারী স্টাফকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়েছে। এছাড়া সদর উপজেলার ওই গৃহবধূকে জেলা সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে।

আর উভয়ের বাড়ির অন্যান্য সদস্যদের আপাতত রাখা হয়েছে হোম কোয়ারেন্টিনে। প্রয়োজনে পরীক্ষার জন্য তাদেরও নমুনা সংগ্রহ করা হবে।

এদিকে বরাদ্দের পরও ৫ এপ্রিল পর্যন্ত শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ও নার্সদের পিপিই (পারসোনাল প্রটেকশন ইকুইপমেন্ট) দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে। আর ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরই একজন স্টাফ করোনাতে আক্রান্ত হওয়ায় ঝুঁকিতে পড়েছেন হাসপাতালে দায়িত্বরত প্রায় ২৮ জন চিকিৎসক-নার্স ও অন্যান্য স্টাফ।

এ বিষয়ে শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা চিকিৎসক আনোয়ার হোসেনের সাথে মোবাইলে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার বক্তব্য জানা যায়নি।

তবে ওই বিষয়ে সিভিল সার্জন জানিয়েছেন, ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পিপিই অনেক আগেই সরবরাহ করা হয়েছে।