জামালপুরে শিশু কল্যাণ কমিটির সভা
![](http://banglarchithi.com/wp-content/uploads/2019/09/Thana.jpg)
নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম
দেশে চলমান শিশু ধর্ষণ, হত্যা, নির্যাতন বিচারহীনতার অপসংস্কৃতিরোধ, শিশুদের বিভিন্ন অপরাধের সাথে যুক্ত করার হীন মানসিকতা বন্ধ করা, সমাজ সচেতনতা সৃষ্টিসহ কমিটির কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে জামালপুর শিশু কল্যাণ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সদর থানায় শিশু সহায়তা কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) রাসেদুল হাসান। উন্নয়ন সংঘের আইনের সংস্পর্শ ও সংঘাতে জড়িয়ে পড়া শিশুদের প্রাতিষ্ঠানিক দায়িত্ব উন্নয়ন (আইআইআরসিসিএল) প্রকল্পের আওতায় অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন শিশু কল্যাণ কমিটির সভাপতি জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র মেয়র সায়মা হামজা সিমি। মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন কমিটির সাধারণ সম্পাদক ও উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ বিভাগের পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।
শিশু কল্যাণ কমিটির সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা জ্যোৎস্না বেগম, উন্নয়ন সংঘের অঞ্চলিক ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন, কমিটির সদস্য বিশিষ্ট সংস্কৃতি কর্মী আশরুফুজ্জামান স্বাধীন, নারীনেত্রী তাছলিমা চৌধুরী, কমিউিনিটি ভলেন্টিয়ার জিল্লুর রহমান, প্রকল্পের সমাজকর্মী আরজু মিয়া প্রমুখ।
সভায় জামালপুর সম্প্রতি শিশু ধর্ষণ মামলার আসামী সরকারি কর্মচারী মামলা হবার পাঁচদিনের মাথায় জামিন পাওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করা হয়। পাশাপাশি জামালপুর সদর থানা শিশু ও প্রবেশন আইন মেনে বেশকিছু ঘটনার নিষ্পত্তি করায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ সদর থানা পুলিশ প্রশাসনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়। সভায় প্রচলিত আইনের কার্যকর প্রয়োগসহ জনসচেতনতা সৃষ্টিতে বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচি পালনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
কোনো শিশু আটক হয়ে থানায় আসার সাথে সাথে এবং কোনো শিশু সহিংসতার শিকার হলে সদর থানা পুলিশ বিশেষ করে শিশু বিষয়ক পুলিশ কর্মকর্তা অবহিত করার আহ্বান জানানো হয়। এছাড়া সদস্যরা শিশুবিয়ে প্রতিরোধসহ সকল প্রকার শিশু নির্যাতন রোধে শিশু কল্যাণ কমিটির মাধ্যমে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলার অঙ্গীকার করেন। এ কাজে স্বেচ্ছাসেবক এবং যুব আইনজীবীরা ভূমিকা রাখবে বলে সভা সূত্র জানায়।
উল্লেখ, ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের আর্থিক সহায়তায় অপরাজেয় বাংলাদেশের সাথে অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে জামালপুরে উন্নয়ন সংঘ এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের আওতায় আইনের সাথে জড়িত হয়ে শতাধিক শিশু সুরক্ষিত হয়েছে। এক্ষেত্রে সদর থানা পুলিশ, প্রবেশন কর্মকর্তা, উন্নয়ন সংঘের সমন্বিত উদ্যোগ বিশাল ভূমিকা রাখছে বলে সভা সূত্র জানায়।