বকশীগঞ্জে আড়াই বছর ধরে ধর্ষণ, স্বামী ও সন্তানের স্বীকৃতি চেয়ে থানায় অভিযোগ

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় মিথ্যা বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক নারীকে আড়াই বছর ধরে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ধর্ষণের ফলে ওই নারীর একটি কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে। কিন্তু ধর্ষক ওই নারীকে অস্বীকার ও সন্তানের পরিচয় দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন।

এ ঘটনায় ১০ সেপ্টেম্বর বিকালে মকবুল হোসেন (৩৩) নামে ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে বকশীগঞ্জ থানায় আভিযোগ দায়ের করেছেন নির্যাতিত নারী ।

জানা গেছে, বকশীগঞ্জ পৌর এলাকার নামাপাড়া গ্রামের ইনছার আলীর ছেলে সিএনজিচালক মকবুল হোসেন শ্রীবরদী উপজেলার খোশালপুর গ্রামের এক নারীকে (২৬) মুঠোফোনে প্রেমের ফাঁদে ফেলে। প্রেমের এক পর্যায়ে মকবুল হোসেন ওই নারীকে ঢাকায় নিয়ে স্বামী স্ত্রীর পরিচয় দিয়ে একটি বাসা ভাড়া নেয়। ভাড়া বাসায় কয়েক মাস তাকে ধর্ষণ করেন। কৌশলে ধর্ষণের ভিডিও মুঠোফোনে ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে প্রতিনিয়ত তাকে ধর্ষণ করা হয়।

ঢাকায় দেড় বছর থাকার পর গর্ভবতী হয়ে পড়ে ওই নারী। গর্ভবতী হওয়ায় মকুবল হোসেনের নিজ বাড়ি নামাপাড়ায় নিয়ে আসেন ওই নারীকে। পরে সেখানেই একটি কন্যাসন্তান জন্ম দেন তিনি। সুমাইয়া নামে শিশুটির বয়স এখন ১১ মাস। সন্তান হওয়ার পরও অসংখ্যবার ধর্ষণ করা হয় তাকে। তিন মাস আগে মকবুল হোসেন এই নারীকে ও তার শিশু কন্যাকে অস্বীকার করে এবং টাকা দেওয়া বন্ধ করে দেন।

এ নিয়ে স্থানীয়দের কাছে বিচার চাইলেও কোনো সমাধান পায়নি ওই নির্যাতিতা নারী। বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে তোলপাড় ও মিশ্র প্রতিক্রয়া সৃষ্টি হয়। অবশেষে স্বামীর অধিকার ও সন্তানের পিতৃত্বের পরিচয়ের দাবিতে ১০ সেপ্টেম্বর মকবুল হোসেনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন ওই নারী।

বকশীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হযরত আলী জানান, ওই নারী একটি অভিযোগ দিয়েছেন। ঘটনার তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

sarkar furniture Ad
Green House Ad