বকশীগঞ্জে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে স্লিপ প্রকল্পের টাকা উত্তোলনের অভিযোগ!

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর জাল করার অভিযোগ উঠেছে। স্বাক্ষর জালিয়াতির ঘটনায় ২৬ আগস্ট দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি।

লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, সাধুরপাড়া ইউনিয়নের চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি বিদ্যালয়ে ৬ মাস আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন ইসমাইল হোসেন। তিনি চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদানের পরই বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা হারাতে শুরু করে। নিয়মিত বিদ্যালয়ে না আসা, নিয়মিত ক্লাস না হওয়া, ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে বনিবনা না হওয়াসহ বিভিন্ন অভিযোগ ছিল তার বিরুদ্ধে। সম্প্রতি ওই বিদ্যালয়ের উন্নয়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা অধিদপ্তর থেকে স্লিপ প্রকল্পের ৫০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়।

ব্যবস্থাপনা কমিটির সাথে পরামর্শ ও ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতিকে না জানিয়ে উল্টো ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতির স্বাক্ষর করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন। পরে বিষয়টি জানাজানি হলে ক্ষুব্ধ হয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও অভিভাবকরা।

প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকান্ডে হতাশ হয়ে তার বদলি ও উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানিয়ে ইউএনও বরাবরে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও বিদ্যালয়ের জমিদাতা মো. আক্কাছ আলী।

ওই বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আক্কাছ আলী জানান, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন এই বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বিদ্যালয়ে বিশৃঙ্খল পরিবেশ তৈরি করেছেন। দুই তিন দিন পর পর বিদ্যালয়ে এসে শুধু হাজিরা দিয়ে আবার চলে যায়। তার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করেছে। তিনি অবিলম্বে ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন।

এ বিষয়ে চর আইরমারী আক্কাছ আলী সরকারি বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ইসমাইল হোসেন জানান, আমি কারও স্বাক্ষর জাল করিনি এবং ব্যাংক থেকে এখনো টাকা উত্তোলন করি নি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অরুনা রায় বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তার বিরুদ্ধে আণিত অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি মো. আক্কাছ আলী ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।