ঢাকা ০৯:৪৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

বাঁশচড়ায় এতিমখানার আবাসিক ছাত্র খুন

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের কাসারুপাড়া ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন এতিমখানার আবাসিক ছাত্র মো. সাদকে (৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই এতিমখানার রান্না ঘরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ছাত্র এতিমখানাটির হেফজ শাখার প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই এতিমখানার হেফজ শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র মো. আবু রায়হানকে (১৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু সাদ জামালপুর সদর উপজেলার ইটাইল ইউনিয়নের শৈলেরকান্দা গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে। আটক আবু রায়হান সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের জামিরা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। তারা দু’জন কাসারুপাড়া ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন এতিমখানার আসাবিক ছাত্র। ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই এতিমখানার রান্না ঘরে তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে আবু রায়হান ধারালো দা দিয়ে সাদের মাথায় উপর্যুপরি কোপায়। এতে সাদ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনার পর আবু রায়হান দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাকে হাতেনাতে আটক করে। খবর পেয়ে নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আবু রায়হানকে আটক এবং নিহত শিশু সাদের লাশ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে গেছে।

নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বারী বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। আটক আবু রায়হানকে জিজ্ঞাবাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত সাদের লাশ ৪ আগস্ট সকালে জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।

আপলোডকারীর তথ্য

বাঁশচড়ায় এতিমখানার আবাসিক ছাত্র খুন

আপডেট সময় ০১:০০:৫০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০১৯

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুর সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের কাসারুপাড়া ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন এতিমখানার আবাসিক ছাত্র মো. সাদকে (৮) কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। ৩ আগস্ট সন্ধ্যায় ওই এতিমখানার রান্না ঘরে এ ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ছাত্র এতিমখানাটির হেফজ শাখার প্রথম শ্রেণির ছাত্র। এ ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে একই এতিমখানার হেফজ শাখার নবম শ্রেণির ছাত্র মো. আবু রায়হানকে (১৫) আটক করে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী।

গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, নিহত শিশু সাদ জামালপুর সদর উপজেলার ইটাইল ইউনিয়নের শৈলেরকান্দা গ্রামের মো. সুরুজ্জামানের ছেলে। আটক আবু রায়হান সদর উপজেলার বাঁশচড়া ইউনিয়নের জামিরা গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে। তারা দু’জন কাসারুপাড়া ইঞ্জিনিয়ার নুরুল আমিন এতিমখানার আসাবিক ছাত্র। ৩ আগস্ট সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ওই এতিমখানার রান্না ঘরে তাদের দু’জনের মধ্যে ঝগড়া বাঁধে।

ঝগড়ার এক পর্যায়ে আবু রায়হান ধারালো দা দিয়ে সাদের মাথায় উপর্যুপরি কোপায়। এতে সাদ ঘটনাস্থলেই নিহত হয়। এ ঘটনার পর আবু রায়হান দৌঁড়ে পালানোর চেষ্টা করলে বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসী তাকে হাতেনাতে আটক করে। খবর পেয়ে নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের একদল পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আবু রায়হানকে আটক এবং নিহত শিশু সাদের লাশ উদ্ধার করে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে গেছে।

নরুন্দি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আব্দুল বারী বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে এ হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত কারণ জানা যায়নি। আটক আবু রায়হানকে জিজ্ঞাবাসাবাদ করা হচ্ছে। ময়নাতদন্তের জন্য নিহত সাদের লাশ ৪ আগস্ট সকালে জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হবে।