বকশীগঞ্জে ইউএনও’র হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে বন্ধ, মেয়ের বাবাকে জরিমানা

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেয়েছে নবম শ্রেণির ছাত্রী মঞ্জিলা আক্তার কলি (১৩)। ২৩ জুলাই রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বাল্যবিয়ে বন্ধ করে মেয়ের বাবা মুকছেন আলীকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন। মঞ্জিলা আক্তার কলি ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী।

জানা গেছে, বাট্টাজোড় ইউনিয়নের উজানপাড়া গ্রামের মুকছেন আলীর স্কুল পড়ুয়া মেয়ে মঞ্জিলা আক্তার কলির সঙ্গে ধানুুয়া কামালপুর ইউনিয়নের সাতানিপাড়া গ্রামের জনৈক ছেলের বিয়ে ঠিক হয়।

২৩ জুলাই রাতে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। খবর পেয়ে বিয়ে বাড়িতে রাত নয়টায় উপস্থিত হয়ে বাল্যবিয়েটি বন্ধ করে দেন এবং বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় মেয়ের বাবা মুকছেন আলীকে আটক করে নিয়ে আসেন ইউএনও। ২৪ জুলাই সকালে নাবালক মেয়েকে বাল্যবিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসিয়ে মেয়ের বাবাকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদন্ড দেন।

পরে টাকা জমা দিয়ে মুক্তিপান মুকছেন আলী। একই সাথে তিনি তার মেয়েকে ১৮ বছরের আগে বিয়ে না দেওয়ার অঙ্গীকার করেন।