বকশীগঞ্জে পুলিশের সাথে বন্দুকযুদ্ধে মাদক কারবারি নিহত

বন্দুকযুদ্ধে নিহত মাদক কারবারি শিপন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় ২২ জুলাই ভোররাতে পুলিশের সাথে বন্দুক যুদ্ধে শিপন (২৮) নামের ১৪ মামলা আসামি এক মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসী নিহত এবং দু’জন এসআইসহ চারজন পুলিশ গুরুতর আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। নিহত শিপন শেরপুর জেলা সদরের মুন্সিরচর এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে।

এ ঘটনায় ২২ জুলাই দুপুরে জামালপুরে পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন বিপিএম, পিপিএম (বার) তার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের জানান, ২১ জুলাই ভোররাতে বকশীগঞ্জ উপজেলার মেরুরচর ইউনিয়নের আইড়মারী এলাকায় দশানি নদীতে নৌ ডাকাতির সময় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ১৪ মামলা আসামি শিপনকে গ্রেপ্তার করে। ২১ জুলাই দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ শেষে শিপনের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য বকশীগঞ্জ থানার একদল পুলিশ শিপনকে নিয়ে ২২ জুলাই ভোররাতে অভিযানে বের হয়। অভিযানের একপর্যায়ে উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের ডুমুরতলা এলাকায় পৌঁছুলে শিপনের সহযোগী মাদক কারবারি ও সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে। এ সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে শিপন গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়। তাকে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

বন্দুকযুদ্ধে একজন মাদক কারবারি নিহত হওয়ার ঘটনায় সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বন্দুকযুদ্ধের সময় মাদক কারবারিদের হামলায় চারজন পুলিশ মারাত্মকভাবে আহত হয়েছেন বলে পুলিশ সুপার দাবি করেছেন। আহতরা হলেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল আজিজ, এসআই রাজু আহাম্মেদ, কনস্টেবল রাসেল নকরেক ও মো. মিজানুর রহমান। অভিযানের সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি পাইপগান, একটি মোটরসাইকেল ও ৩০০টি ইয়াবা বড়ি জব্দ করা হয়েছে।

পুলিশ সুপার মো. দেলোয়ার হোসেন আরো জানান, নিহত শিপনের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ তার পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে বকশীগঞ্জ থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।