বকশীগঞ্জে বন্যার পানিতে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত, ১২টি বিদ্যালয় বন্ধ, ত্রাণ বিতরণ হয় নি এখনো, নিহত ১

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় বন্যার পানি হু হু করে বাড়ছে। অব্যাহতভাবে বন্যার বৃদ্ধির ফলে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। বন্যার পানির কারণে সাধারণ মানুষ তাদের গরু, ছাগল ও হাঁস মুরগি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। ১২টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে গণি মিয়া (৩০) নামে এক যুবক মারা গেছে।

জানা গেছে, বন্যার পানি অব্যাহতভাবে বৃদ্ধির ফলে সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলের পাড়, ঠান্ডার বন, ডেরুরবিল, আচ্চা কান্দি গাজীর পাড়া, বাঙ্গাল পাড়া, নয়া বাড়ি, বাচ্চা গাঁও নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। একই সাথে মদনের চর ও তালতলা গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

মেরুরচর ইউনিয়নের শেকের চর, বেতমারী, জাগির পাড়া, ভাটি খেওয়ারচর, রবিয়ারচর এলাকা নতুন করে প্লাবিত হয়েছে। এছাড়াও বগারচর ইউনিয়নের বালুরচর, পেরিরচর, সাতভিটা, হামিদুপর, আলীরপাড়া গ্রামে বন্যা দেখা দিয়েছে।

পাশাপাশি নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের সজিমারা, কুশলনগর, গুমের চর, পাগলা এলাকায় বন্যায় সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়ে গেছে। এসব এলাকা প্লাবিত হওয়ায় রোপা আমনের বীজতলা ও সবজির ক্ষেত পানির নিচে তলিয়ে গেছে।এদিকে বন্যার কারণে সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও চারটি উচ্চ বিদ্যালয় এবং একটি দাখিল মাদ্রাসা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

অপরদিকে ১৫ জুলাই সকাল ৬ টায় বন্যার পানিতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে গণি মিয়া নামে এক যুবক মারা গেছে। গণি মিয়া নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের তালুকপাড়া গ্রামের মো. শাহজাহানের ছেলে।

তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে আরো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ হতে পারে। বন্যায় ১৫ হাজার মানুষ পানি হলেও এখন পর্যন্ত সরকারিভাবে কোন ত্রাণ বিতরণ করেন নি উপজেলা প্রশাসন। বন্যা কবলিত এলাকার চেয়ারম্যানদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে যেকোন দিন ত্রাণ বিতরণ করা হবে বলে জানিয়েছন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা হাসান মাহবুব খান।

উন্নয়ন সংঘ রি-কল ২০২১ প্রকল্পের দুর্যোগ হ্রাস কমিটির সদস্যরা বন্যা কবলিত এলাকার মানুষকে বন্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তারা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ রেখে সার্বিক সহযোগিতা করছেন।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বলেন, বন্যার্ত এলাকা পরিদর্শন করা হয়েছে। পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে, সকলকে কর্মকর্তাকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। সকলের সহযোগিতায় বন্যা মোকাবেলা করা হবে।