ঢাকা ০৬:২৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’ বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি সমর্থন জানালো যুক্তরাষ্ট্র পুরো সংস্কার করবে নির্বাচিত সরকার : জয়নুল আবদীন ফারুক পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার ১৬০ বছরের ইতিহাসে পুলিশ এত বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়নি : পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম হাটচন্দ্রায় মাকে হত্যা, ছেলে গ্রেপ্তার ইসলামপুরে এক মাদরাসা শিক্ষক বহিষ্কার গ্রামীণ ব্যাংকে সরকারের মালিকানা কমানো হয়েছে : রিজওয়ানা ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালাতে চান নেতানিয়াহু, ট্রাম্পের না গাজা উপত্যকায় গত দিনে ইসরাইলি হামলায় ৩৫ জন ফিলিস্তিনি নিহত

মেলান্দহে আটক শেরপুরের তিন যুবক জামালপুর জেলহাজতে

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

বরগুনা জেলার হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি এনজিওর মাঠকর্মী পরিচয়ে গর্ভবতী নারীদের অনুদানের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আটক শেরপুরের তিন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৩ জুন দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জামালপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ২২ জুন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের খায়েরপাড়া গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, আটক যুবকরা হলেন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম পড়শপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. ফজল হক (১৯), শ্রীবরদী উপজেলার মো. চান মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ আলম (১৭) এবং শেরপুর সদর উপজেলার কাওয়াপিছি গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে মো. কাউছার (১৮)। তারা বরগুনা জেলার হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি এনজিওর ‘গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর পুষ্টি কার্যক্রম’ বাস্তবায়ন প্রকল্পের মাঠকর্মী পরিচয়ে ২২ জুন সকালে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের খায়েরপাড়া গ্রামে যান।

তারা ওই গ্রামের গর্ভবতী নারীদের মোটা অংকের টাকার অনুদানের লোভ দেখিয়ে ৩০০ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ করার সময় গ্রামবাসী তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। পরে ঘোষেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুর রহমান তাদেরকে মেলান্দহ থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৩ জুন দুপুরে জামালপুর আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ফরমটিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সনদপ্রাপ্ত হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ নামের এনজিওটি খলিফা ফাউন্ডেশন (কে-এফ) এর আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয় বলে উল্লেখ রয়েছে। এতে এনজিওটির প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা মহিলা কলেজ রোড, বরগুনা-৮৭১০ লেখা আছে। ফরমটিতে একটি ইমেইল ঠিকানা থাকলেও তাতে কোনো ফোন নম্বর উল্লেখ নেই। ২০১২ সালের এনজিও ব্যুরোর সনদপ্রাপ্ত কথিত খলিফা ফাউন্ডেশনের একটি সনদও তাদের কাছে পাওয়া গেছে। খলিফা ফাউন্ডেশনের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার মহেশকাটা বাজার।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ঘোষেরপাড়া থেকে আটক বরগুণার এনজিওর মাঠকর্মী পরিচয়দানকারী ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৩ জুন দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’

আপলোডকারীর তথ্য

প্রগতিশীলতা, অসাম্প্রদায়িকতা চর্চায় মির্জা সাহেব ও তার ‘সাপ্তাহিক তওফিক’

মেলান্দহে আটক শেরপুরের তিন যুবক জামালপুর জেলহাজতে

আপডেট সময় ১১:০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ জুন ২০১৯

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

বরগুনা জেলার হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি এনজিওর মাঠকর্মী পরিচয়ে গর্ভবতী নারীদের অনুদানের প্রলোভন দেখিয়ে প্রতারণার অভিযোগে আটক শেরপুরের তিন যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৩ জুন দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জামালপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ২২ জুন জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলার ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের খায়েরপাড়া গ্রাম থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।

পুলিশ ও গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে, আটক যুবকরা হলেন শেরপুর জেলার নালিতাবাড়ী উপজেলার পশ্চিম পড়শপাড়া গ্রামের লুৎফর রহমানের ছেলে মো. ফজল হক (১৯), শ্রীবরদী উপজেলার মো. চান মিয়ার ছেলে মো. সোহাগ আলম (১৭) এবং শেরপুর সদর উপজেলার কাওয়াপিছি গ্রামের আবু বাক্কারের ছেলে মো. কাউছার (১৮)। তারা বরগুনা জেলার হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি এনজিওর ‘গর্ভবতী মহিলা ও শিশুর পুষ্টি কার্যক্রম’ বাস্তবায়ন প্রকল্পের মাঠকর্মী পরিচয়ে ২২ জুন সকালে ঘোষেরপাড়া ইউনিয়নের এক নম্বর ওয়ার্ডের খায়েরপাড়া গ্রামে যান।

তারা ওই গ্রামের গর্ভবতী নারীদের মোটা অংকের টাকার অনুদানের লোভ দেখিয়ে ৩০০ টাকার বিনিময়ে প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ করার সময় গ্রামবাসী তাদেরকে হাতেনাতে আটক করে। পরে ঘোষেরপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান মো. ওবায়দুর রহমান তাদেরকে মেলান্দহ থানা পুলিশে সোপর্দ করেন। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তারা প্রতারণার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ২৩ জুন দুপুরে জামালপুর আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদেরকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন।

তাদের কাছ থেকে জব্দ করা ফরমটিতে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের এনজিও বিষয়ক ব্যুরোর সনদপ্রাপ্ত হেলথ কেয়ার বাংলাদেশ নামের এনজিওটি খলিফা ফাউন্ডেশন (কে-এফ) এর আর্থিক সহযোগিতায় পরিচালিত হয় বলে উল্লেখ রয়েছে। এতে এনজিওটির প্রধান কার্যালয়ের ঠিকানা মহিলা কলেজ রোড, বরগুনা-৮৭১০ লেখা আছে। ফরমটিতে একটি ইমেইল ঠিকানা থাকলেও তাতে কোনো ফোন নম্বর উল্লেখ নেই। ২০১২ সালের এনজিও ব্যুরোর সনদপ্রাপ্ত কথিত খলিফা ফাউন্ডেশনের একটি সনদও তাদের কাছে পাওয়া গেছে। খলিফা ফাউন্ডেশনের ঠিকানা দেওয়া হয়েছে বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার মহেশকাটা বাজার।

মেলান্দহ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রেজাউল ইসলাম খান বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘ঘোষেরপাড়া থেকে আটক বরগুণার এনজিওর মাঠকর্মী পরিচয়দানকারী ওই তিন যুবকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। ২৩ জুন দুপুরে তাদেরকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।’