সরিষাবাড়ীতে শ্বশুরবাড়ি থেকে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার

সরিষাবাড়ীতে নিহত গৃহবধূ শিখা বেগমের লাশ। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলায় শ্বশুরবাড়িতে শিখা বেগম (১৯) নামের এক গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। ৬ জুন দিবাগত মাঝরাতে এ ঘটনা ঘটে। উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চরহাটবাড়ী গ্রামের গ্রামীণ ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত মাঠ কর্মকর্তা মো. লুৎফর রহমান সেলিমের মেয়ে তিনি। ৭ জুন ভোরে তার লাশ উদ্ধার করে জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে সরিষাবাড়ী থানা পুলিশ।

নিহত গৃহবধূর চাচা শামীম রেজা ফরহাদ বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, সরিষাবাড়ী উপজেলার ডোয়াইল ইউনিয়নের চরহাটবাড়ী গ্রামের মৃত হালিম উদ্দিনের ছেলে আল আমীনের সাথে আট মাস আগে বিয়ে হয় তার ভাতিজি শিখা বেগমের। সে এবার সরিষাবাড়ী মাহমুদা সালাম মহিলা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে। শিখা বেগম তার শ্বশুরবাড়িতেই থাকতো। ৬ জুন দিবাগত রাত ১২টার দিকে তার শ্বশুরবাড়ির প্রতিবেশীদের মাঝে জানাজানি হয় যে শিখা বেগমকে হত্যা করে তার স্বামী ও পরিবারের অন্যান্যরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন। রাতেই ওই বাড়িতে গিয়ে ঘরের খাটে কাঁথা মোড়ানো অবস্থায় শিখা বেগমকে পড়ে থাকতে দেখা যায়। ঘরের দরজাও খোলা ছিল। রাতেই সরিষাবাড়ী থানায় খবর দেওয়া হয়। থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম ৭ জুন ভোরে ওই বাড়িতে গিয়ে শিখা বেগমের সুরতহাল তৈরি করে লাশ থানায় নিয়ে যান। শিখা বেগমের গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে।

শামীম রেজা ফরহাদ অভিযোগ করে আরও বলেন, ‘শিখার স্বামী চরহাটবাড়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী। হয়তো পারিবারিক কলহের জের ধরে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তবে কি নিয়ে তাদের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয় তা আগে থেকেই আমাদের জানা ছিল না। শিখার লাশ ফেলে রেখে তার স্বামী আল আমীন, শাশুড়ি আঙ্গুরী বেগম ও দুই ভাসুর শফিকুল ইসলাম ও রফিকুল ইসলাম বাড়ি ছেলে পালিয়ে যাওয়ায় এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি রহস্যের সৃষ্টি করেছে। পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে পারলেই ঘটনার প্রকৃত কারণ বেরিয়ে আসবে। আমরা এ ঘটনায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করবো।’

সরিষাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. রফিকুল ইসলাম বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘শিখা বেগমের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার গলায় আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। গলায় দড়ি বা চিকন তার জাতীয় কিছু পেচিয়ে তাকে শ্বাসরোধ করা হয়ে থাকতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তবে সেখানে দড়ি বা অন্যকিছু পাওয়া যায়নি। নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়েরের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’