জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম
এনটিভির শেরপুরের সাংবাদিক কাকন রেজার ছেলে সাংবাদিক এহসান ইবনে রেজা ফাগুন (২৩) নিহত হয়েছেন। ২১ মে রাতে জামালপুর-নান্দিনা রেলস্টেশনের মাঝামাঝি কালিবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকায় রেললাইনের পাশ থেকে তার লাশ উদ্ধার করেছে জামালপুর রেলওয়ে থানা পুলিশ।
২২ মে বিকেলে জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে ময়নাতদন্ত শেষে তার মরদেহ পরিবারের স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বাড়ি শেরপুর সদরের চকবাজার এলাকায়। তিনি ঢাকায় প্রিয়ডটকম এর ইংরেজি ভারসনের সহসম্পাদক পদে চাকরি করতেন।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, এহসান ইবনে রেজা ফাগুন শেরপুরে তার বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশে ২১ মে বিকেলে ঢাকা থেকে ট্রেনে রওনা হন। ট্রেন থেকে তার বাবা সাংবাদিক কাকন রেজার সাথে কথাও হয়েছে তার। কিন্তু এহসান রাতে শেরপুরে বাড়িতে ফিরে না যাওয়ায় পরিবারের স্বজনদের মাঝে উদ্বেগ দেখা দেয়। মঙ্গলবার রাতে এবং গতকাল বুধবার সকালে পরিবারের স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেন।
জামালপুর রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাপস চন্দ্র পণ্ডিত বাংলারচিঠিডটকমকে জানান, ২১ মে রাত সাড়ে ১২টার দিকে জামালপুর-নান্দিনা রেলস্টেশনের মাঝামাঝি কালিবাড়ী মধ্যপাড়া এলাকায় রেললাইনের পাশে পড়ে থাকা অজ্ঞাত এক যুবকের লাশ উদ্ধার করা হয়। নিহতের পরনে ছিল ফুলহাতা শার্ট, জিন্সের প্যান্ট ও জুতা। লাশের শরীরে ট্রেনে কাটা বা অন্যকোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি।
২২ মে সকালে ময়নাতদন্তের জন্য তার লাশ জামালপুর সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। যথারীতি ময়নাতদন্ত শেষে লাশের সৎকারের জন্য আঞ্জুমান মফিদুল ইসলামকে খবর দেওয়া হয়। আঞ্জুমান মফিদুল ইসলাম কর্তৃপক্ষ মরদেহের কফিন তৈরি করে জানাজা ও দাফনের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। এরই মধ্যে বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে লাশটি সম্পর্কে জানতে চাইলে জিআরপি পুলিশের পক্ষ থেকে নিহতের বাবা কাকন রেজার কাছে তার ছেলের ছবি পাঠানো হয়। ওই ছবি দেখে কাকন রেজা লাশটি তার ছেলের বলে শনাক্ত করেন।
তিনি আরও জানান, এ ব্যাপারে রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়েছে। লাশটি তার স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
শোকাহত সাংবাদিক কাকন রেজা বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, ‘২১ মে রাত সাড়ে ৭টার দিকে ময়মনসিংহের গফরগাঁও স্টেশন থেকে এহসান আমাকে ফোনে বলেছিল সে ট্রেনে বাড়িতে আসতেছে। কিন্তু রাতে বাড়িতে না আসায় অনেক স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। ২২ মে সকালে তার খুঁজে ময়মনসিংহে যাই। এক পর্যায়ে জামালপুর রেলওয়ে থানার পুলিশ আমার কাছে ছবি পাঠালে তা দেখে আমি নিশ্চিত হই যে লাশটি এহসানেরই। সে কোন ট্রেনে আসতেছিল এবং কোনো অজ্ঞানপার্টির খপ্পরে পড়েছিল কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।’