ঢাকা ০১:১০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই ইসলামপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা পেল ঢেউটিন ইসলামপুরে পৌর নাগরিকসেবা নিশ্চিতের দাবিতে হাফিজ পাঠাগারের স্মারকলিপি পেশ দেওয়ানগঞ্জে দিনব্যাপী পুষ্টি মেলায় বাউল গান ও সমৃদ্ধ আলোচনা অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম প্রাণ প্রকৃতি শিক্ষা স্কুল নিসর্গপাঠ চালু হল সরিষাবাড়ীতে জাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির নতুন কমিটির সভাপতি রাবেয়া, সম্পাদক ইয়াসির দেওয়ানগঞ্জে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন সরিষাবাড়ীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মালিকসহ ৭ জনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে বিকল্প জীবিকার জন্য ১৬ জেলে পেলেন বকনা বাছুর

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনমুখী হওয়ার আহবান জয়ের

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী আইসিটি সেক্টরের নেতৃত্ব গ্রহণে তাদের নিজস্ব উদ্ভবনী ধারণা সৃষ্টির আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে, আপনারা আপনাদের নিজস্ব উদ্ভাবন এবং ভিশন ঠিক করুন, নিজস্ব ধারণা অনুসন্ধান করুন, নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করুন, আমরা অনুকরণ করবো না, উদ্ভাবন করবো।’

সজীব ওয়াজেদ জয় ২১ এপ্রিল নগরীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী ৪র্থ বিপিও সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তরুণ আইটি উদ্যোক্তাদের প্রতি এ আহবান জানান।

আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ‘বিশ্বে আউটসোর্সিং-এর কেন্দ্র’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে, যার ফলে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন।

তিনি বলেন, ভারতের আইটি ও বিপিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুকরণের চেষ্টা করে আমাদের বিপিও শিল্পের ভারতের মুখোমুখী বা পায়ে পায়ে চলার কোনো প্রয়োজন নেই।

জয় বলেন, আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এখনও অনেক নতুন এবং বাংলাদেশী বিপিও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিৎ নিজস্ব উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে নতুন সুযোগ খুঁজে দেখা। কারণ এখন নতুন নতুন পরিসেবা অনলাইনেই আসছে, যা আমরা কল্পনাও করিনি।

ডাক ও টেলি যোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও) এর সভাপতি ওয়াহেদ শরীফ।

আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হকও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। আমরা আরও দ্রুত দেশের উন্নয়ন করতে চাই।

তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে আইসিটি খাতে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ১০ ভাগেরও কম। তিনি এই সংখ্যা অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, দশ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সফলতার সঙ্গে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আইসিটি খাতে উন্নয়নের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং অল্প খরচেই এই উন্নয়ন করে দেখাচ্ছি।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত দশ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রযুক্তি খাতকে গুছিয়ে এনেছে। এখন দ্রুত বেগে অগ্রগতির পালা। অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছি। উন্নত দেশ হতে হলে প্রযুক্তি খাত থেকে আয় বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিপিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপিও খাতের বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বিপিও ব্যবসার বাজার গত ১০ বছরে ইতোমধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এখনই সময়। এই খাতকে যথাযথভাবে কাজে লাগালে এটি দেশের উন্নয়নের গতিকে যে আরও ত্বরান্বিত করবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

তিনি বলেন ২০০৮ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কেবল গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, ব্যবহারকারীদের জন্যে ইন্টারনেট যেন নিরাপদ হয় সেজন্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৫ সালে যে ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, সরকার এখন তা ৪০০ টাকায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল ফোন ইন্টারনেটে আমরা ইতোমধ্যেই ফোর জি সেবা চালু করেছি; অচিরেই একে ফাইভ জি-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। এ হিসেবে তরুণদের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। বিপিও খাতে এখন বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। আমরা যদি এই তরুণদের প্রশিক্ষিত করে এই খাতে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরা খুব দ্রুতই বিপিওর বিশ্ব-বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারবো।

তিনি বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠীকে সফলভাবে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের অর্থনীতিকে উন্নত করতে পেরেছে। আমাদের তরুণদের কর্মসংস্থানের হার বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার আইসিটি খাতে তাদের প্রশিক্ষণের জন্যে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে বিপিও খাতে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বর্তমানে বিপিও খাতে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের অগ্রযাত্রা বজায় থাকবে। সূত্র : বাসস

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই

তথ্যপ্রযুক্তি খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের উদ্ভাবনমুখী হওয়ার আহবান জয়ের

আপডেট সময় ০৯:০৪:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ এপ্রিল ২০১৯

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এ খাতের তরুণ উদ্যোক্তাদের প্রতি বিশ্বব্যাপী আইসিটি সেক্টরের নেতৃত্ব গ্রহণে তাদের নিজস্ব উদ্ভবনী ধারণা সৃষ্টির আহবান জানিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘বিজনেস প্রসেস আউটসোর্সিং (বিপিও) শিল্পের সাথে যুক্ত ব্যক্তিবর্গের প্রতি আমার বার্তা হচ্ছে, আপনারা আপনাদের নিজস্ব উদ্ভাবন এবং ভিশন ঠিক করুন, নিজস্ব ধারণা অনুসন্ধান করুন, নতুন নতুন প্রযুক্তি আবিষ্কার করুন, আমরা অনুকরণ করবো না, উদ্ভাবন করবো।’

সজীব ওয়াজেদ জয় ২১ এপ্রিল নগরীর একটি হোটেলে দুই দিনব্যাপী ৪র্থ বিপিও সম্মেলনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তরুণ আইটি উদ্যোক্তাদের প্রতি এ আহবান জানান।

আইসিটি উপদেষ্টা বলেন, বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ‘বিশ্বে আউটসোর্সিং-এর কেন্দ্র’ হিসেবে বিশ্বব্যাপী সুনাম অর্জন করেছে, যার ফলে তাদের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা কঠিন।

তিনি বলেন, ভারতের আইটি ও বিপিও প্রতিষ্ঠানগুলোকে অনুকরণের চেষ্টা করে আমাদের বিপিও শিল্পের ভারতের মুখোমুখী বা পায়ে পায়ে চলার কোনো প্রয়োজন নেই।

জয় বলেন, আমাদের তথ্যপ্রযুক্তি খাত এখনও অনেক নতুন এবং বাংলাদেশী বিপিও উদ্যোক্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিৎ নিজস্ব উদ্ভাবনী ধারণার মাধ্যমে নতুন সুযোগ খুঁজে দেখা। কারণ এখন নতুন নতুন পরিসেবা অনলাইনেই আসছে, যা আমরা কল্পনাও করিনি।

ডাক ও টেলি যোগাযোগ ও আইসিটি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কল সেন্টার এন্ড আউটসোর্সিং (বিএসিসিও) এর সভাপতি ওয়াহেদ শরীফ।

আইসিটি বিভাগের সচিব এন এম জিয়াউল আলম, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব অশোক কুমার বিশ্বাস এবং বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন রেগুলেটরি কমিশনের (বিটিআরসি) চেয়ারম্যান মো. জহিরুল হকও অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।

সজীব ওয়াজেদ বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নতি হয়। বিশ্বের মধ্যে বাংলাদেশ দ্রুত গতিতে প্রযুক্তি ক্ষেত্রে উন্নতি করেছে। আমরা আরও দ্রুত দেশের উন্নয়ন করতে চাই।

তিনি বলেন, দক্ষ জনশক্তি তৈরি করার ক্ষেত্রে আইসিটি খাতে তরুণদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছে সরকার। কিন্তু দুঃখজনক হচ্ছে আইসিটি ক্ষেত্রে নারীদের অংশগ্রহণ ১০ ভাগেরও কম। তিনি এই সংখ্যা অচিরেই ৫০ ভাগে উন্নীত হবে বলে আশা প্রকাশ করে বলেন, দশ বছর আগে কেউ কল্পনাও করেনি ইউনিয়ন পর্যায়ের মানুষ ইন্টারনেট সেবা পাবে। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকার সফলতার সঙ্গে সেটা করতে সক্ষম হয়েছে। আইসিটি খাতে উন্নয়নের জন্য আমরা বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি এবং অল্প খরচেই এই উন্নয়ন করে দেখাচ্ছি।

মোস্তাফা জব্বার বলেন, গত দশ বছর শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার প্রযুক্তি খাতকে গুছিয়ে এনেছে। এখন দ্রুত বেগে অগ্রগতির পালা। অনুন্নত দেশের তালিকা থেকে আজ আমরা উন্নয়নশীল দেশের তালিকায় ঠাঁই পেয়েছি। উন্নত দেশ হতে হলে প্রযুক্তি খাত থেকে আয় বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে বিপিও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশাবাদ প্রকাশ করেন।

তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী বিপিও খাতের বাজার প্রায় ৬০০ বিলিয়ন ডলার। বাংলাদেশের বিপিও ব্যবসার বাজার গত ১০ বছরে ইতোমধ্যেই ৩০০ মিলিয়ন ডলার ছাড়িয়েছে। সেই সম্ভাবনাকে সকলের সামনে তুলে ধরা এবং তরুণ প্রজন্মের কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেওয়ার এখনই সময়। এই খাতকে যথাযথভাবে কাজে লাগালে এটি দেশের উন্নয়নের গতিকে যে আরও ত্বরান্বিত করবে এ কথা নিশ্চিতভাবে বলা যায়।

তিনি বলেন ২০০৮ সালে যেখানে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিল ২৪ লাখ, বর্তমানে সেই সংখ্যা ৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। কেবল গ্রাহকের সংখ্যা বাড়ানোই নয়, ব্যবহারকারীদের জন্যে ইন্টারনেট যেন নিরাপদ হয় সেজন্যেও আমরা কাজ করে যাচ্ছি। ২০০৫ সালে যে ব্যান্ডউইথের দাম ছিল ৭৫ হাজার টাকা, সরকার এখন তা ৪০০ টাকায় নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছে। মোবাইল ফোন ইন্টারনেটে আমরা ইতোমধ্যেই ফোর জি সেবা চালু করেছি; অচিরেই একে ফাইভ জি-তে উন্নীত করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে বলে জানান মোস্তাফা জব্বার।

জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আমাদের দেশের মোট জনগোষ্ঠীর দুই-তৃতীয়াংশ তরুণ। এ হিসেবে তরুণদের সংখ্যা প্রায় ১১ কোটি। এই তরুণ জনগোষ্ঠীই আমাদের সম্পদ। বিপিও খাতে এখন বাংলাদেশের প্রচুর দক্ষ জনবল প্রয়োজন। আমরা যদি এই তরুণদের প্রশিক্ষিত করে এই খাতে কাজে লাগাতে পারি তাহলে আমরা খুব দ্রুতই বিপিওর বিশ্ব-বাজারের একটি উল্লেখযোগ্য অংশ অর্জন করতে পারবো।

তিনি বলেন, তরুণ জনগোষ্ঠীকে সফলভাবে কাজে লাগিয়ে দক্ষিণ কোরিয়া তাদের অর্থনীতিকে উন্নত করতে পেরেছে। আমাদের তরুণদের কর্মসংস্থানের হার বাড়াতে বাংলাদেশ সরকার আইসিটি খাতে তাদের প্রশিক্ষণের জন্যে নানা ধরনের উদ্যোগ নিয়েছে। এই প্রশিক্ষিত জনগোষ্ঠীকে বিপিও খাতে সঠিকভাবে কাজে লাগানোর মাধ্যমে কয়েক বছরের মধ্যেই দেশে প্রচুর কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। বর্তমানে বিপিও খাতে প্রায় ৫০ হাজার তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে ২০২১ সালের মধ্যে প্রায় ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন জুনাইদ আহমেদ পলক।

তিনি বলেন, নানা ধরনের উদ্যোগ নেয়ার মাধ্যমে স্বল্প মূল্যে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ল্যাপটপ ও ইন্টারনেট সেবা প্রাপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আমাদের অগ্রযাত্রা বজায় থাকবে। সূত্র : বাসস