ভাটারায় কবর থেকে লাশ উত্তোলন

ফজলুল হকের লাশ উত্তোলন করার সময় উৎসুক জনতার ভীড়। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

মমিনুল ইসলাম কিসমত, সরিষাবাড়ী (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার ভাটারা ইউনিয়নের ফুলগহ গ্রামে দাফনের ২৩ দিন পর কবর থেকে ফজলুল হক (৪০) নামের এক কাঠ ব্যবসায়ীর লাশ উত্তোলন করা হয়েছে। ১২ মার্চ সকালে ফুলদহ গ্রামে নিহতের পারিবারিক কবরস্থান থেকে তার লাশ উত্তোলন করা হয়। এসময় হাজারো উৎসুক জনতা ভীড় জমায়।

নিহতের পরিবার ও মামলা সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্থানীয় এরশাদ নামের এক যুবক তাকে বাড়ি থেকে ফোন করে ডেকে নিয়ে যায়। ওই দিনই সন্ধার পর খবর আসে সে সড়ক দুর্ঘটনায় জামালপুর পৌর এলাকায় টিউবওয়েলপাড় মোড়ে মারা গেছেন। দুর্ঘটনার পর তাকে উদ্ধার করে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার সময় পথেই মারা যান তিনি।

পরের দিন সকালে তার লাশ দাফন করে পরিবারের সদস্যরা। এরপর তার পরিবারের সন্দেহ হলে নিহতের স্ত্রী আঞ্জুয়ারা বেগম বাদি হয়ে গত ১ মার্চ সরিষাবাড়ী থানায় ফুলদহ গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে এরশাদ (৩৫), একই গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে আব্দুল ওয়াহাব (৫০) ও গুফফারসহ অজ্ঞাত আরো ৫-৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। পরে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান তালুকদার সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য আদালতে আবেদন করলে জামালপুর জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম সি আর আমলী আদালতের নির্বাহী হাকিম ফয়সাল তারেক লাশ উত্তোলন করে সুরতহাল ও ময়নাতদন্তের জন্য আদেশ দেন। পরে ১২ মার্চ সকালে নির্বাহী হাকিমের উপস্থিতিতে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে জেলা সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

এসময় নির্বাহী হাকিম ও সরিষাবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা রকিবুজ্জামান তালুকদারসহ সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।