ইসলামপুরে অগ্নিকাণ্ডে দু’টি ঘর ভস্মীভূত, অগ্নিদগ্ধ ১

অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত সুমনের বসতঘর। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

সাহিদুর রহমান, ইসলামপুর (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলায় প্রতিপক্ষের দেওয়া আগুনে ইয়ানুছ আলী (৫০) নামের এক ব্যক্তি অগ্নিদগ্ধ ও দু’টি বসতঘরসহ প্রায় ১১ লাখের অধিক টাকার মালামাল পুড়ে ছাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ করা হয়েছে। উপজেলার চরপুটিমারী ইউনিয়নের পেচারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগে জানা যায়, ওই গ্রামের ইন্তাজ আলীর ছেলে সুমন খান ও বাদশার ছেলে আব্দুল মমিনের মধ্যে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি গভীর রাতে মমিন ও তার লোকজন সুমনের বসত ঘরে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যেই আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। এতে সুমন ও তার বাবা ইন্তাজ আলীর দু’টি বসতঘর, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ প্রায় ১১ লাখের অধিক টাকার মালামাল পুড়ে যায়। এলাকাবাসীর চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে এলেও আরও কয়েকটি ঘর আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ সময় ঘর থেকে গরু উদ্ধার করতে গিয়ে সুমনের বড় ভাই ইয়ানুছ আলী অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত হন। পরে তাকে শেরপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।

অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারাত্মক আহত সুমনের বড় ভাই ইয়ানুছ আলী। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

১ মার্চ বিকেলে সরেজমিনে ওই গ্রামে গিয়ে অগ্নিকাণ্ডের সত্যতা পাওয়া গেছে। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক এলাকাবাসী জানান, সুমনের পরিবার নিরীহ মানুষ। তাই তারা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

এ ব্যাপারে মমিনের সাথে কথা বলতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে তার স্ত্রী সাবিনা বেগম জানান, ইন্তাজ আলী মমিনের ফুপা। তাদের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ আছে। কিন্তু আমার স্বামী ফুপু-ফুপার বাড়িতে আগুন দেয়নি।

সুমন জানান, বাড়িতে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় থানায় একটি এজাহার দেওয়া হয়েছে। পুলিশ তদন্ত করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেয়া হয়নি।

এ ব্যাপারে ইসলামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসলাম হোসেনের সাথে ২ মার্চ যোগযোগ করা হলে তিনি জানান, অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত করা হয়েছে কিন্তু প্রত্যক্ষ কোনো স্বাক্ষী পাওয়া যায় নাই। প্রত্যক্ষ স্বাক্ষী না থাকায় কোনো মানুষকে হয়রানী করা পুলিশের কাজ নয়।