ঢাকা ১২:৫৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই ইসলামপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তরা পেল ঢেউটিন ইসলামপুরে পৌর নাগরিকসেবা নিশ্চিতের দাবিতে হাফিজ পাঠাগারের স্মারকলিপি পেশ দেওয়ানগঞ্জে দিনব্যাপী পুষ্টি মেলায় বাউল গান ও সমৃদ্ধ আলোচনা অনুষ্ঠিত বকশীগঞ্জে পাট উৎপাদনকারী চাষী প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত দেশের প্রথম প্রাণ প্রকৃতি শিক্ষা স্কুল নিসর্গপাঠ চালু হল সরিষাবাড়ীতে জাবিপ্রবি ডিবেটিং সোসাইটির নতুন কমিটির সভাপতি রাবেয়া, সম্পাদক ইয়াসির দেওয়ানগঞ্জে ঔষধ ব্যবসায়ীদের মানববন্ধন সরিষাবাড়ীতে বালু উত্তোলনের অপরাধে ড্রেজার মালিকসহ ৭ জনের কারাদণ্ড মাদারগঞ্জে বিকল্প জীবিকার জন্য ১৬ জেলে পেলেন বকনা বাছুর

বকশীগঞ্জে ভুল প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, অভিভাবকদের ক্ষোভ

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে নির্ধারিত প্রশ্নের পরিবর্তে ভিন্ন সেটে ভুল সিলেবাসের প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ফলে উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্রের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় দুইশতাধিক শিক্ষার্থী ২০১৯ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ি প্রণিত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা দেয়। এতে করে ওই বিষয়ে ফেল করার আশঙ্কা করছেন তারা। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৩১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাসের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলো ১৩ জন। ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৮ সনের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন এবং ২০১৬-১৭ সনের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৯ সনের সিলেবাস অনুযায়ি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। পুরাতন ও নতুন পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র থাকলেও দুইশতাধিক নতুন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া ২০১৮ সনের সিলেবাসের প্রশ্ন। পরীক্ষা শেষে ঘটনা জানাজানি হলে পরীক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রাথমিক তদন্ত শেষে উপস্থিত সাংবাদিক ও অভিভাবকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর অবশ্যই কঠিন শাস্তির আশ্বাস দেন ইউএনও ।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন জানান, ভিন্ন সেটে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, ভুলবশত ভিন্ন সিলেবাসের প্রশ্ন বিতরণ ও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

১০ শয্যার মাদারগঞ্জ মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্র : ভবন আছে, চিকিৎসক নেই

বকশীগঞ্জে ভুল প্রশ্নে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত, অভিভাবকদের ক্ষোভ

আপডেট সময় ১০:২০:০২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
বাংলারচিঠি ডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় এসএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে নির্ধারিত প্রশ্নের পরিবর্তে ভিন্ন সেটে ভুল সিলেবাসের প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। ফলে উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্রের বহুনির্বাচনী পরীক্ষায় দুইশতাধিক শিক্ষার্থী ২০১৯ সালের সিলেবাসের পরিবর্তে ২০১৮ সালের সিলেবাস অনুযায়ি প্রণিত প্রশ্নপত্রের মাধ্যমে পরীক্ষা দেয়। এতে করে ওই বিষয়ে ফেল করার আশঙ্কা করছেন তারা। পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

জানা গেছে, ২ ফেব্রুয়ারি বাংলা প্রথম পত্রের পরীক্ষায় বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্রে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মোট ৩১১ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। এর মধ্যে ২০১৮ সালের সিলেবাসের অনিয়মিত শিক্ষার্থী ছিলো ১৩ জন। ২০১৫-১৬ শিক্ষা বর্ষের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৮ সনের সিলেবাস অনুযায়ী প্রশ্ন এবং ২০১৬-১৭ সনের শিক্ষার্থীদের জন্য ২০১৯ সনের সিলেবাস অনুযায়ি প্রশ্নপত্র সরবরাহ করা হয়। পুরাতন ও নতুন পরীক্ষার্থীদের জন্য আলাদা আলাদা প্রশ্নপত্র থাকলেও দুইশতাধিক নতুন শিক্ষার্থীর হাতে তুলে দেওয়া ২০১৮ সনের সিলেবাসের প্রশ্ন। পরীক্ষা শেষে ঘটনা জানাজানি হলে পরীক্ষার্থীরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি অবহিত করে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম প্রাথমিক তদন্ত শেষে উপস্থিত সাংবাদিক ও অভিভাবকদের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তের পর অবশ্যই কঠিন শাস্তির আশ্বাস দেন ইউএনও ।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোহাম্মদ সানোয়ার হোসেন জানান, ভিন্ন সেটে প্রশ্ন দিয়ে পরীক্ষা নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে খতিয়ে দেখা হবে।

এ ব্যাপারে কেন্দ্র সচিব বকশীগঞ্জ উলফাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আতাউর রহমান জানান, ভুলবশত ভিন্ন সিলেবাসের প্রশ্ন বিতরণ ও পরীক্ষা নেয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত ক্রমে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে পরীক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেনা।