বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার জাতি, ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের সমউন্নয়ন নিশ্চিত করতে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, যখন আমরা উন্নয়নের কথা বলি তখন আমরা জাতি, ধর্ম বর্ণ, গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের কথাই বলি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩১ জানুয়ারি সকালে তাঁর তেজগাঁওস্থ কার্যালয়ে সমতলে বসবাসকারী ক্ষুদ্র্র নৃগোষ্ঠীর উচ্চ শিক্ষায় অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন। ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতিত)’ শীর্ষক কর্মসূচির আওতায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ৫০০ শিক্ষার্থীকে অনুষ্ঠানে শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। এখানে কাউকে এটা মনে করলে চলবে না যে, আমরা ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর বা আসরা অবহেলিত সেটা ভাবলে চলবে না।
সকলকে ভাবতে হবে, এই দেশের নাগরিক সবাই এবং প্রত্যেক নাগরিকের সমান অধিকার রয়েছে। সকলেই সমান অধিকার ভোগ করবে বাংলাদেশে, যোগ করেন তিনি।
শেখ হাসিনা বলেন, ধর্ম, বর্ণ, জাতি গোষ্ঠী নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার থাকবে এবং আমরা সেটাই নিশ্চিত করতে চাই। সেটাই আমাদের লক্ষ্য এবং দেশটা আমাদের সকলের এই কথাটা মনে রেখে যার যার ক্ষেত্রে সবাইকে দেশের উন্নয়নে কাজ করে যেতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো.নজিবুর রহমানের সভাপতিত্বে শিক্ষামন্ত্রী চিকিৎসক দিপু মনি অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।
এতে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন-প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব মো. সাজ্জাদুল হাসান এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মহাপরিচালক (প্রশাসন) খলিলুর রহমান। বুয়েটের ও বরগুনার সাঁওতাল আদিবাসী মিয়াট বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের পক্ষে নিজস্ব অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।
এ ছাড়া সমতলে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জনগণের জীবন-মান উন্নয়ন,বৃত্তি উপকারভোগীদের বাস্তব অভিজ্ঞতা এবং প্রকল্পের নানা দিক সম্বলিত কয়েকটি ছোট ছোট ভিডিও চিত্র অনুষ্ঠানে প্রদর্শন করা হয়।
অনুষ্ঠানে ৫০০ শিক্ষার্থীকে ২৫ হাজার টাকা করে ১ কোটি ২৫ লাখ টাকার বৃত্তি প্রদান করা হয়। বিশেষ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যমণ্ডিত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ে অধ্যয়নরত মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ বৃত্তি দেওয়া হয়। এরমধ্যে অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
আগামী বছর থেকে এই বৃত্তিপ্রাপ্তের সংখ্যা ২ হাজারে উন্নীত করা হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলের এই অনুষ্ঠানে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সচিববৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণ, ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত ও কূটনৈাতক কোরের ডিনসহ বিদেশি কূটনীতিকবৃন্দ, বৃত্তিপ্রাপ্ত শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকবৃন্দ এবং আমন্ত্রিত অতিথিগণ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শিক্ষা সহায়তা ট্রাষ্ট ফান্ডের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশে উচ্চ শিক্ষার জন্য তাঁর সরকার বৃত্তি দিচ্ছে এবং ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীসহ সাধারণ জনগণের জন্য ব্যাপকভাবে সাধারণ বৃত্তি দিয়ে যাচ্ছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সারাদেশে প্রায় দুই কোটি ৪ লাখ শিক্ষার্থী এই বৃত্তি পাচ্ছে এবং বিভিন্ন ট্রেডে তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থাও করা হয়েছে।
সূত্র : বাসস