আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যু, শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ২৩ জানুয়ারি

বাংলারচিঠি ডটকম ডেস্ক॥
বরেণ্য গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক এবং মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল আর নেই। (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। ২২ জানুয়ারি রাজধানীর আফতাবনগরের বাসায় হার্ট অ্যাটাক হলে তাকে আয়েশা ইউনিভার্সেল মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

হাসপাতালে ডাক্তার জানান, তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান।

মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। ১৯৫৬ সালের ১ জানুয়ারি আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। ছোটবেলা থেকেই তিনি সংগীত চর্চা শুরু করেন। ১৫ বছর বয়সে ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন।

সস্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুস জানান, ২৩ জানুয়ারি সকাল ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের লক্ষ্যে প্রয়াত বুলবুলের মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাখা হবে। সেখানে দুপুর সাড়ে বারটা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানো শেষে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জোহর নামাজের পর তার নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে তিনি জানান।

তার মৃত্যুতে পৃথকভাবে শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী।

রাষ্ট্রপতি এক শোক বিবৃতিতে আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদদ্যদের প্রতি সমবেদনা জানান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার শোক বিবৃতিতে সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুলের মৃত্যুতে তার সংগীত জগতের অবদানের কথা এবং মুক্তিযুদ্ধের অংশ্রগহণের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, তার মৃত্যুতে দেশের সংগীত জগতে অপূরণীয় ক্ষতি হলো। প্রধানমন্ত্রী মরহুমের পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

আহমেদ ইমতিয়াজ বুলবুল দীর্ঘদিন ধরে হৃদরোগে ভোগছিলেন, কয়েক মাস আগে চিকিৎসার জন্য হাসাপাতালে ভর্তি হন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিকিৎসার সকল ব্যয়ভার সরকারের পক্ষ থেকে দেয়ার ঘোষণা দেন। তিনি প্রধানমন্ত্রীকে এ জন্যে ধন্যবাদ জানিয়ে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছিলেন। হাপাতালে তার দেহে রিং সংযোজন করা হয়েছিল।

বাংলা সংগীত জগতে আহেমদ ইমতিয়াজ বুলবুল ছিলেন এক মেধাবী গীতিকার, সুরকার ও সংগীত পরিচালক। ‘সব কটা জানালা খুলে দাও না ’সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের সুরারোপ করেন। চলচ্চিত্রেরও সংগীত পরিচালনা করেন। বিশেষত: দেশাত্ববোধক ও আধুনিক গানে সুর করার ক্ষেত্রে ব্যাপক খ্যাতিলাভ করেন। সগীতের প্রসারে তিনি চ্যানেল-আই’এর সংগীত প্রতিযোগিতায় বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন।

দেশের সংগীত জগতে অবদানের জন্য আহেমদ ইমতিয়াজ বুলবুল ২০১০ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন। এ ছাড়া সংগীতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা এবং পুরস্কার লাভ করেন।
সূত্র : বাসস