বকশীগঞ্জে কেন্দ্র সচিবকে ১ লাখ টাকা জরিমানা

নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর
বাংলারচিঠিডটকম

জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট-জেএসসি পরীক্ষার প্রথম দিনে ১ নভেম্বর জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলায় কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্বে থাকা তিনজন ভুয়া শিক্ষককে আটক করে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই তিন ভুয়া শিক্ষক উপজেলার হাসিনা গাজী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে দায়িত্ব পালন করছিলেন। একই সাথে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে ওই কেন্দ্রের সচিব স্থানীয় চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

জানা গেছে, উপজেলার বাট্টাজোর ইউনিয়নের হাসিনা গাজী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ১ নভেম্বর সকালে জেএসসি বাংলা পরীক্ষায় কয়েকজন ভুয়া শিক্ষক কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব পালন করছিলেন- এমন অভিযোগের ভিত্তিতে নির্বাহী হাকিম ও বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ওই পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালান।

এ সময় তিনজন ভুয়া শিক্ষককে আটক করা হয়। তারা হলেন- উপজেলার কামালপুর ইউনিয়নের টাঙ্গারীপাড়া গ্রামের মৃত লুৎফর রহমানের ছেলে মো. মাহবুবুর রহমান, বাট্টাজোর ইউনিয়নের পলাশতলা গ্রামের মৃত আবুল কাশেমের ছেলে মো. আলমগীর হোসেন ও মেরুরচর ইউনিয়নের আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. হিটলার মিয়া। ভুয়া শিক্ষক দিয়ে পাবলিক পরীক্ষায় দায়িত্ব পালনের সুযোগ করে দেওয়ার অভিযোগে ওই কেন্দ্রের সচিব স্থানীয় চন্দ্রাবাজ রশিদা বেগম স্কুল ও কলেজের অধ্যক্ষ রফিকুল ইসলামকেও আটক করা হয়।

পরে নির্বাহী হাকিম ও ইউএনও দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা (অপরাধসমূহ) আইনে ভুয়া শিক্ষক মো. মাহবুবুর রহমান, মো. আলমগীর হোসেন ও মো. হিটলার মিয়াকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। কেন্দ্র পরিচালনায় দায়িত্বে অবহেলার দায়ে কেন্দ্র সচিব অধ্যক্ষ মো. রফিকুল ইসলামকে একই আইনে এক লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২২ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন। পরে তিনি এক লাখ টাকা পরিশোধ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত থেকে মুক্তি পান। দণ্ডপ্রাপ্ত ওই তিনজন ভুয়া শিক্ষককে জামালপুর জেলা হাজতে পাঠানো হয়েছে।

বকশীগঞ্জের ইউএনও দেওয়ান মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, দন্ডপ্রাপ্ত তিনজন ভুয়া শিক্ষক ইঞ্জিনিয়ার অন্তর ইউনুছ রেছেনা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক বলে পরিচয় দেন। কিন্তু ওই নামে কোনো শিক্ষা প্রতিষ্ঠানই নেই। রায়ের পর তাদেরকে জামালপুর জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই কেন্দ্র সচিব জরিমানার টাকা পরিশোধ করায় তাকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।