ঢাকা ১১:৪১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৩০ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
সাংবাদিক হৃদয়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকলীগ নেতার বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা নরুন্দিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা হামিদুল হকের মরদেহ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাহিত শেখ মুজিবকে দেবতা বানানোর চেষ্টা করা হয়েছিল : হাবিব উন নবী খান সোহেল বাংলাদেশের সংস্কার কর্মসূচির প্রতি বিশ্বব্যাংকের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশের সমন্বয়ে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবে : আইন উপদেষ্টা অপারেশন ডেভিল হান্টে কোন দুষ্কৃতকারী যেন রেহাই না পায় : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা চীনা শীর্ষ অটো প্রতিষ্ঠান বিওয়াইডি এআই ডিপসিক প্রযুক্তির গাড়ি আনছে প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশ ভানুয়াতুর প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত অঘোষিত সেমিফাইনালে ১২ ফেব্রুয়ারি মুখোমুখি পাকিস্তান-দক্ষিণ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে দায়িত্ব পালন করবেন বাংলাদেশের শরফুদ্দৌলা

জামালপুরে ২১৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব

দয়াময়ী মন্দিরের দুর্গাপূজামণ্ডপ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

দয়াময়ী মন্দিরের দুর্গাপূজামণ্ডপ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর, বাংলারচিঠি ডটকম

সারা দেশের ন্যায় জামালপুর জেলাতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় ২১৫টি পূজামণ্ডপে উদযাপিত হচ্ছে এই দুর্গোৎসব। পাঁচদিনব্যাপী দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিনে ১৫ অক্টোবর জেলার সবগুলো পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাসপ্তমী পূজা।

জানা গেছে, এবার জেলার সাতটি উপজেলায় ২১৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে জামালপুর সদরে ৬৪টি, মেলান্দহে ২১, মাদারগঞ্জে ২৬, ইসলামপুরে ২১, দেওয়ানগঞ্জে ২৫, বকশীগঞ্জে ১৪ এবং সরিষাবাড়ী উপজেলায় ৪৪টি পূজামণ্ডপ স্থাপিত হয়েছে। পূজামণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়। মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা উদযাপনে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সপরিবারে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়া বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পূজা দেখতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের পরিবার পরিজন নিয়ে মণ্ডপগুলোতে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন পূজা মণ্ডপগুলোয় নিয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জামালপুর শহরের দয়াময়ী মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ শংকর রায় বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘সারা জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামণ্ডপগুলোর কমিটির সামর্থের পাশাপাশি সরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ে কিছু অনুদানের সহায়তায় পূজামণ্ডপগুলো স্থাপিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে খয়রাতির চাল বরাদ্দ দিয়েছে।’

জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর পূজার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘এবার দুর্গাপূজা উদযাপন সার্বজনীন ও নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সার্বিক সহায়তা ও নিরাপত্তাজনিত নজরদারি করছে। প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে পুলিশসহ একটি করে ভ্রাম্যমাণ দল পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় কাজ করছে। এ ছাড়াও প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।’

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

সাংবাদিক হৃদয়ের বিরুদ্ধে শ্রমিকলীগ নেতার বানোয়াট চাঁদাবাজির মামলা

জামালপুরে ২১৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গোৎসব

আপডেট সময় ০৬:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ অক্টোবর ২০১৮
দয়াময়ী মন্দিরের দুর্গাপূজামণ্ডপ। ছবি : বাংলারচিঠি ডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক
জামালপুর, বাংলারচিঠি ডটকম

সারা দেশের ন্যায় জামালপুর জেলাতেও যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বড় ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গোৎসব। এবার জেলা সদরসহ সাতটি উপজেলায় ২১৫টি পূজামণ্ডপে উদযাপিত হচ্ছে এই দুর্গোৎসব। পাঁচদিনব্যাপী দুর্গোৎসবের দ্বিতীয় দিনে ১৫ অক্টোবর জেলার সবগুলো পূজামণ্ডপে অনুষ্ঠিত হয়েছে মহাসপ্তমী পূজা।

জানা গেছে, এবার জেলার সাতটি উপজেলায় ২১৫টি পূজামণ্ডপে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এর মধ্যে জামালপুর সদরে ৬৪টি, মেলান্দহে ২১, মাদারগঞ্জে ২৬, ইসলামপুরে ২১, দেওয়ানগঞ্জে ২৫, বকশীগঞ্জে ১৪ এবং সরিষাবাড়ী উপজেলায় ৪৪টি পূজামণ্ডপ স্থাপিত হয়েছে। পূজামণ্ডপগুলো সাজানো হয়েছে বর্ণিল আলোকসজ্জায়। মণ্ডপে মণ্ডপে পূজা উদযাপনে হিন্দু পুণ্যার্থীদের সপরিবারে ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়া বিকেল থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত পূজা দেখতে বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষদের পরিবার পরিজন নিয়ে মণ্ডপগুলোতে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন পূজা মণ্ডপগুলোয় নিয়েছে কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

জামালপুর শহরের দয়াময়ী মন্দির পরিচালনা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধার্থ শংকর রায় বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘সারা জেলায় শান্তিপূর্ণভাবে দুর্গাপূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পূজামণ্ডপগুলোর কমিটির সামর্থের পাশাপাশি সরকারি ও ব্যক্তিপর্যায়ে কিছু অনুদানের সহায়তায় পূজামণ্ডপগুলো স্থাপিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন জেলার প্রতিটি পূজামণ্ডপের জন্য ৫০০ কেজি করে খয়রাতির চাল বরাদ্দ দিয়েছে।’

জেলা প্রশাসক আহমেদ কবীর পূজার নিরাপত্তা প্রসঙ্গে বাংলারচিঠি ডটকমকে বলেন, ‘এবার দুর্গাপূজা উদযাপন সার্বজনীন ও নির্বিঘ্ন করতে জেলা প্রশাসন, উপজেলা প্রশাসন ও জেলা পুলিশ সার্বিক সহায়তা ও নিরাপত্তাজনিত নজরদারি করছে। প্রতিটি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী হাকিমের নেতৃত্বে পুলিশসহ একটি করে ভ্রাম্যমাণ দল পূজামণ্ডপের নিরাপত্তায় কাজ করছে। এ ছাড়াও প্রতিটি পূজামণ্ডপে সার্বক্ষণিক পুলিশ ও আনসার সদস্য দায়িত্ব পালন করছেন।’