ঢাকা ১২:৩৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০২ নভেম্বর ২০২৫, ১৭ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
মাদারগঞ্জে ১৮ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৪, নিখোঁজ ১ জামালপুরে মাদরাসা শিক্ষার মান উন্নয়নে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত মাদারগঞ্জে জাতীয় সমবায় দিবস উদযাপিত বকশীগঞ্জে বিএনপির সদস্য সংগ্রহ ও সদস্য নবায়ন কর্মসূচি শুরু এপেক্স ক্লাব অব শেরপুরের ৩য় এজিএম ও ক্লাব বোর্ড নির্বাচন অনুষ্ঠিত পাররামরামপুর ইউনিয়নে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত মাদারগঞ্জে বৃক্ষরোপণ, ক্যান্সার রোগীদের চিকিৎসা সহায়তা ইসলামপুরে অসময়ে যমুনা নদীর তীব্র ভাঙনে দিশেহারা আখচাষীরা শেরপুরে শেষ হলো ক্যাথলিক খ্রিষ্টভক্তদের ফাতেমা রাণীর তীর্থোৎসব সরিষাবাড়ীতে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে সাংবাদিকের উপর হামলা

দেওয়ানগঞ্জে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির বিস্কুট নিয়ে ধরা খেয়েছেন দুই শিক্ষিকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, দেওয়ানগঞ্জ ॥
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দকৃত বিস্কুট নিয়ে হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন দুই শিক্ষিকা।

জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দুপুরের টিফিন সুবিধার্থে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় বিদ্যালয়গুলোতে বিস্কুট সরবরাহ করা হতো। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দকৃত বিস্কুট প্রতিদিন নিয়ে যেত উপজেলার কাঠারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম ও পারসিনা বেগম। ৫ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর দুই শিক্ষিকা বিদ্যালয় থেকে বিস্কুট ব্যাগ ভর্তি করে বাড়ি যাচ্ছে এমন এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় দুই সাংবাদিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আলমকে অবগত করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাদের অফিস কক্ষে ডেকে এনে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে বিস্কুট বের করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্কুল ফিডিং মনিটরিং রিপোর্টিং অফিসার রায়হান আহমেদ জানান, কাঠারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষিকা বিস্কুটসহ সংবাদিকদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছে শুনেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত বিস্কুট শিক্ষক বাড়ি নেওয়ার কোনো নিয়ম নীতি নেই।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই, আমি প্রশিক্ষণে আছি, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আলম জানান, কয়েক প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে যাচ্ছিল তারা এমন সময় সাংবাদিক আমাকে অবগত করলে আমি ওই দুই শিক্ষিকাদের অফিস রুমে ডেকে তাদের ব্যাগ থেকে বিস্কুট বের করে অফিসে রেখে দিয়েছি। তবে ঘটনাটি চক্রান্ত মনে হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমি দায়িত্ব পালনের সময় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।

আপলোডকারীর তথ্য

জনপ্রিয় সংবাদ

মাদারগঞ্জে ১৮ ঘণ্টা পর আরেক শিশুর মরদেহ উদ্ধার, নিহত বেড়ে ৪, নিখোঁজ ১

দেওয়ানগঞ্জে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির বিস্কুট নিয়ে ধরা খেয়েছেন দুই শিক্ষিকা

আপডেট সময় ০৮:৪৩:৪৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮

নিজস্ব প্রতিবেদক, দেওয়ানগঞ্জ ॥
জামালপুরের দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দকৃত বিস্কুট নিয়ে হাতেনাতে ধরা খেয়েছেন দুই শিক্ষিকা।

জানা গেছে, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের দুপুরের টিফিন সুবিধার্থে স্কুল ফিডিং কর্মসূচির আওতায় বিদ্যালয়গুলোতে বিস্কুট সরবরাহ করা হতো। বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের বরাদ্দকৃত বিস্কুট প্রতিদিন নিয়ে যেত উপজেলার কাঠারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রোকেয়া বেগম ও পারসিনা বেগম। ৫ সেপ্টেম্বর স্কুল ছুটির পর দুই শিক্ষিকা বিদ্যালয় থেকে বিস্কুট ব্যাগ ভর্তি করে বাড়ি যাচ্ছে এমন এক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে স্থানীয় দুই সাংবাদিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আলমকে অবগত করলে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাদের অফিস কক্ষে ডেকে এনে তাদের ব্যাগ তল্লাশি করে বিস্কুট বের করেন।

এ বিষয়ে উপজেলা স্কুল ফিডিং মনিটরিং রিপোর্টিং অফিসার রায়হান আহমেদ জানান, কাঠারবিল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দুই শিক্ষিকা বিস্কুটসহ সংবাদিকদের কাছে হাতেনাতে ধরা পড়েছে শুনেছি। ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। শিক্ষার্থীদের বরাদ্দকৃত বিস্কুট শিক্ষক বাড়ি নেওয়ার কোনো নিয়ম নীতি নেই।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আফতাব উদ্দিনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে আমি অবগত নই, আমি প্রশিক্ষণে আছি, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেলে এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শাহ আলম জানান, কয়েক প্যাকেট বিস্কুট নিয়ে যাচ্ছিল তারা এমন সময় সাংবাদিক আমাকে অবগত করলে আমি ওই দুই শিক্ষিকাদের অফিস রুমে ডেকে তাদের ব্যাগ থেকে বিস্কুট বের করে অফিসে রেখে দিয়েছি। তবে ঘটনাটি চক্রান্ত মনে হচ্ছে।

অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নূরুল ইসলাম জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক। আমি দায়িত্ব পালনের সময় এ ধরনের কোনো ঘটনা ঘটেনি।

এ ঘটনায় এলাকাবাসির মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। উর্ধ্বতন কর্মকর্তার প্রতি সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তারা।