নিজস্ব প্রতিবেদক, জামালপুর ॥
জামালপুরের মাদারগঞ্জ উপজেলায় বাল্যবিয়ে নিবন্ধনের অভিযোগে দায়ের করা একটি মামলার আসামি কাজী মো. সাইদুর রহমানকে (৪৫) গ্রেপ্তার করেছে মাদারগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ। ২১ জুলাই বিকেলে উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নের কুকুরমারি গ্রামের কনের নানাবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার মো. সাইদুর রহমান উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নের চরগোলাবাড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে। ২২ জুলাই তাকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে, কাজী মো. সাইদুর রহমান গত ২২ জুন রাত তিনটায় উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নের কুকুরমারি গ্রামের খোকা ম-লের ছেলে নবম শ্রেণির ছাত্র হাশেম মিয়ার (১৫) সাথে একই গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের মেয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী শারমিন আক্তারের (১৩) বিয়ে নিবন্ধন করান। কনের নানা হযরত আলী ফকিকের বাড়িতে দু’পক্ষের উপস্থিতিতে এ বাল্যবিয়ে নিবন্ধন করা হয়।
বাল্যবিয়ের ঘটনাটি জানাজানি হলে জোড়খালি ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কুকুরমারি এলাকার মনোয়ারুল ইসলাম বাদী হয়ে ২১ জুলাই সকালে মাদারগঞ্জ মডেল থানায় ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ৮, ৯ ও ১১ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় কাজী মো. সাইদুর রহমানকে প্রধান আসামি এবং বরের বাবা-মা, কনের নানা, বর ও কনের উকিল, বিয়ে পড়ানোর মৌলভী, বিয়ের দু’পক্ষের সাক্ষীসহ ১০ জনের নামে এবং অজ্ঞাত আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলা দায়েরের পর ২১ জুলাই বিকেলে মাদারগঞ্জ মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মো. আব্দুল মজিদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযানে নামে। অভিযানের এক পর্যায়ে ২১ জুলাই সন্ধ্যার দিকে উপজেলার জোড়খালি ইউনিয়নের কুকুরমারি গ্রামের কনের নানা হযরত আলী ফকিকের বাড়ি থেকে প্রধান আসামি কাজী মো. সাইদুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়। আলামত হিসেবে তার কাছ থেকে নিকাহ রেজিস্ট্রার বই জব্দ করা হয়েছে। ২২ জুলাই ওই কাজীকে জামালপুর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
মাদারগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রফিকুল ইসলাম বাংলার চিঠি ডটকমকে বলেন, ‘মামলাটির প্রধান আসামি গ্রেপ্তার কাজী মো. সাইদুর রহমানকে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারের প্রক্রিয়া চলছে।’