জলাবদ্ধতা দূর করে এখন বিস্তীর্ণ প্রান্তর জুড়ে রোপা আমনের সবুজ সৌন্দর্যে ভরে উঠেছে। জামালপুর পৌরসভার বামুনপাড়ার শতাধিক একর আবাদি জমির বুকে ধানের সবুজ পাতার দোল খাওয়ার দৃশ্য অন্যরকম আনন্দ আবহের সৃষ্টি হয়েছে। হতাশা কাটিয়ে কৃষকের মনে নতুন স্বপ্ন বুননের প্রহর কাটছে।
১৫ দিন আগে এলাকার বর্গাচাষীদের নিয়ে আমরা স্থানীয় পদ্ধতি ও প্রযুক্তি ব্যবহার করে জলাবদ্ধতা দূর করতে সক্ষম হয়েছি। এ ক্ষেত্রে পৌরসভা থেকে দেওয়া পাইপ ও উৎসাহ দান আমাদের অনুপ্রাণিত করেছে।

অপরদিকে, বামুনপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সড়কটি শিক্ষক, শিক্ষার্থীদের চলাচলের সম্পূর্ণ অনুপযোগী হয়ে পড়ায় পৌর প্রশাসক এ কে এম আব্দুল্লাহ বিন রশিদ মহোদয়কে সরেজমিনে নিয়ে এসে দুরাবস্থা দেখাই। সাতদিনের মধ্যেই ইট, খোয়া, বালি দিয়ে অনেক উঁচু করে সড়কটি চলাচলের উপযোগী করা হয়েছে। এই বর্ষা মৌসুমে আর সমস্যা হবে না ইনশাল্লাহ।
পৌর কবরস্থানের জলাবদ্ধতা এবং চলাচলের ভেতরের সড়ক পানির নীচে তলিয়ে যাওয়ার একটা ভিডিও ধারণ ও পাবলিকলি উপস্থাপনের পর বিটবালু ফেলে উঁচু করে ইটের সলিং হওয়ায় মানুষের দুর্ভোগ কিছুটা কমেছে। এখন মাটি ফেলে কমপক্ষে দেড় থেকে দুই ফুট উঁচু করা হলে লাশ কবরস্থ করার সমস্যা দূর হবে। পৌর প্রশাসক আশ্বস্ত করেছেন ডিসেম্বরের মধ্যেই এসব কাজ সম্পন্ন করা হবে।

একাধিক স্থানে ডিজেলচালিত শক্তিশালী মোটর ব্যাবহার করে পানি নিষ্কাশনের চেষ্টা করা হয়েছে। তবে কিছুটা উপকার হলেও দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের জন্য মাস্টার প্লানের মাধ্যমে জলাবদ্ধতা দূর করতে হবে। শহরের আবর্জনা পরিচ্ছন্নতার ক্ষেত্রে পৌর প্রশাসক মহোদয় আন্তরিক হলেও টিম ওয়ার্ক মন্থর থাকায় আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হচ্ছে না।
পৌর প্রশাসক আব্দুল্লাহ বিন রশিদ বলেন সুদীর্ঘ দিনের জমে থাকা বাইরের এবং ভেতরের আবর্জনা সমূলে নির্মূল করতে হলে সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ জরুরি। এ ক্ষেত্রে নাগরিকদের এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা অত্যন্ত দুর্বল এবং দায়হীনতার ফলে জনদুর্ভোগ অসহনীয় পর্যায়ে চলে এসেছে। আমরা পৌর টিমকে নিয়ে রাতদিন চেষ্টা করে যাচ্ছি। তবে বাজেট বরাদ্দ পাওয়া গেলে সমস্ত জঞ্জাল দূর করতে আমরা কার্পণ্য করব না।