মোশাররফ হোসাইন টি-২০ গোল্ডকাপের ফাইনাল ২৬ এপ্রিল : লড়বে চন্দ্রিমা ও গুলনাজ

মোস্তফা মনজু
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

মরহুম মোশাররফ হোসাইন টি-২০ গোল্ডকাপ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের ২৫ এপ্রিল অনুষ্ঠিত দুটি সেমিফাইনাল ম্যাচে বিজয়ী হয়ে ফাইনালে লড়ার যোগ্যতা অর্জন করেছে গুলনাজ ওয়ারিয়র্স ক্লাব ও ঢাকার চন্দ্রিমা হাউজিং স্পোর্টস ক্লাব। ২৬ এপ্রিল একই মাঠ জামালপুর বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুল হাকিম স্টেডিয়ামে ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হবে। সকাল ১০টায় ম্যাচ শুরু হবে।

ম্যাচসেরার ক্রেস্ট নেন গুলনাজ ওয়ারিয়র্সের রনি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ মেডিকেল কলেজ (বিএমসি) ও গুলনাজ ওয়ারিয়র্স ক্লাব দল। টসে জিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে অধিনায়ক মিলনের গুলনাজ ওয়ারিয়র্স। তারা ২০ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে। (রনি* ১১৩, সাজিদ* ৫২, জাহিদুল ২৩, আবুল ১/২৪, বোলাররা অতিরিক্ত দিয়েছেন ২ রান)।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে অধিনায়ক মিঠুর বিএমসি দল। তারা ১৬.৪ ওভারে সব উইকেট হারিয়ে ১৩১ রান করে হারের মুখ দেখে। গুলনাজ ৫৯ রানে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে। (নাঈম ৪২, ইসহাক ১৮, শাওন ১৩, আবুল ১১, মমিন ১১, সাজিদ ৪/১২, সজিব ২/১৫, প্লাবন ১/১৪, আকিব ১/২০, বোলাররা অতিরিক্ত দিয়েছেন ১৯ রান)

ম্যাচসেরা হয়েছেন গুলনাজ ওয়ারিয়র্সের রনি। ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন জাহাঙ্গীর ও সাকিব। ম্যাচসেরা রনির হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন টুর্নামেন্টের আয়োজক ও ম্যাপ পেপার বোর্ড মিলস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাদ ইবনে মোশাররফ মুলার ও টুর্নামেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক সাব্বির হোসেন শ্যামল।

ম্যাচসেরা ক্রেস্ট নেন চন্দ্রিমা হাউজিং স্পোর্টস দলের শাহাদাত।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি হয় সাইম মেমোরিয়াল দল ও চন্দ্রিমা হাউজিং স্পোর্টস ক্লাব দল। টসে জিতে প্রথম ইনিংসে ব্যাটিংয়ে নামে অধিনায়ক মুলারের সাইম মেমোরিয়াল। তারা ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৯০ রান করে। (রিজান* ৫২, জেমস ৩৬, মুলার ৩০, রাজিব* ২২, প্রত্যয় ১৯, ফয়সাল ১৩, আনন্দ ১০, শাহাদাত ২/৩৭, নাহিদ ১/৩৯, কায়েস ১/৩৮, রনি ১/৪৫, বোলাররা অতিরিক্ত দিয়েছেন ৮ রান)।

দ্বিতীয় ইনিংসে ১৯১ রানের জয়ের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামে অধিনায়ক রনির চন্দ্রিমা হাউজিং স্পোর্টস দল। তারা ১৯.৫ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ১৯১ করে জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায়। তারা ২ উইকেটে ম্যাচ জিতে ফাইনালে ওঠে। (শাহাদাত* ৪৮, রানা ৩২, হৃদয় ২৯, সিয়াম ২৯, রিক্ত ১৫, মিহাল ২/৩৬, জহির ১/২৬, আনন্দ ১/৪০, মুলার ১/১০, বোলাররা অতিরিক্ত দিয়েছেন ১৪ রান)।

ম্যাচসেরা হয়েছেন চন্দ্রিমা হাউজিং স্পোর্টস দলের শাহাদাত। ম্যাচে আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেন জাহাঙ্গীর ও সাকিব। ম্যাচসেরা শাহাদাতের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন আম্পায়ার সাকিব ও টুর্নামেন্ট ব্যবস্থাপনা কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান বাবু।