জামালপুরে জেসমিনের জেন্ডার বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা

জামালপুরে জেসমিন প্রকল্পের জেন্ডার বিষয়ক দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

নারী পুরুষের সমতা, ন্যায্যতা এবং প্রতিটি ইতিবাচক কাজে বিশেষ করে কৃষি কাজে নারীদের অংশগ্রহণ ও মূল্যায়ন নিশ্চিত করার মাধ্যমে পরিবার ও সমাজে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়নের লক্ষ্যে ‘ম্যানকেয়ার এপ্রোচ’ বিষয়ে জামালপুরে সরকারের কৃষি ও মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে জেসমিন প্রকল্পের দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক জাকিয়া সুলতানা এবং মুখ্য আলোচক ছিলেন জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক কামরুন্নাহার।

সভায় সূচনা বক্তব্য রাখেন জেসমিন প্রকল্পের ব্যবস্থাপক অসিম চ্যাটার্জি এবং সমাপনী বক্তব্য রাখেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম।

ওয়ার্ল্ড ভিশন এবং উন্নয়ন সংঘের যৌথ উদ্যোগে জামালপুর সদর, মেলান্দহ, ইসলামপুর ও দেওয়ানগঞ্জ উপজেলায় বাস্তবায়নাধীন জেন্ডার ইনক্লুসিভ মার্কেট সিস্টেমস ফর ইমপ্রুভ নিউট্রিশন (জেসমিন) প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মএলাকায় উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থার উন্নয়ন, পুষ্টি উন্নয়ন এবং জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে কাজ করছে।

কর্মশালায় জেলা কৃষি বিভাগের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা, চার উপজেলার কৃষি কর্মকর্তাগণ, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাগণ, ওসিসির কর্মকর্তা, ওয়ার্ল্ড ভিশন ও উন্নয়ন সংঘের কর্মকর্তাগণ অংশ নেন।

জামালপুর শহরে হোটেল গ্র্যান্ড সাফির সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় পারিবারিক কাজে ও সন্তান লালন পালনে নারীর পাশিপাশি পুরুষের অংশগ্রহণ, নারীকে কৃষি ও অন্যান্য আয়মূলক কাজের সাথে সম্পৃক্ত হতে সহযোগিতা করা, পরিবারের সকলের বিশেষ করে নারী ও মেয়ে শিশুর পুষ্টিকর খাবার নিশ্চিত করা, অর্থনৈতিক সিদ্ধান্তে নারীর অংশগ্রহণে সহযোগিতা করা, নারী ও শিশুর প্রতি পারিবারিক পর্যায়ের সকল প্রকার নির্যাতন বন্ধকরণে সহযোগিতা করাসহ জেন্ডার সমতা নিশ্চিতকরণে আলোচনা করা হয়।

সভার উদ্দেশ্য এবং কর্মসূচির তাৎপর্য ব্যাখ্যা এবং কর্মশালা সঞ্চালনা করেন জেসমিন প্রকল্পের ভ্যেলু চেইন বিশেষজ্ঞ খন্দকার রুহুল আমিন।

উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া এইডের আর্থিক সহায়তায় চার উপজেলায় প্রায় ২৫ হাজার উপকারভোগীর মাঝে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে আগামী ২০২৮ সাল পর্যন্ত প্রকল্পটির কাজ চলবে বলে আয়োজক সংস্থা ওয়ার্ল্ড ভিশন জানায়।