কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সর্বজনীন পেনশন স্কিম প্রধানমন্ত্রীর যুগান্তকারী উদ্যোগ : জেলা প্রশাসক

বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

‘সুখে ভরবে আগামী দিন, পেনশন এখন সর্বজনীন’ এসব স্লোগান সামনে রেখে ৪ এপ্রিল জামালপুর সর্বজনীন পেনশন স্কিম জেলা পর্যায়ে সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটির অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান বলেন, একটি কল্যাণ রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় সর্বজনিন পেনশন স্কিম মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুগান্তকারী পদক্ষেপ। শেষ বয়সে যে কোন ব্যক্তির জন্য একটি ভরসা এবং আত্মনির্ভরশীল হয়ে থাকার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। সবাইকে এগিয়ে আসার তিনি আহ্বান জানিয়ে বলেন কমিটিতে বিভিন্ন শ্রেণি, পেশার প্রতিনিধি রাখা হয়েছে। সমন্বিত উদ্যোগ থাকলে পেনশন স্কিম সফল করা সম্ভব। আগামী তিন মাসের মধ্যে জামালপুরে ২০ হাজার লোককে পেনশন স্কিমের আওতায় আনতে তিনি সকলকে উদ্বুদ্ধমূলক কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ জানান।

সভায় অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদ আনোয়ার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) শীতেষ চন্দ্র সরকার, জামালপুর জেলা সিনিয়র তথ্য অফিসার জালাল উদ্দিন, দেওয়ানগঞ্জ উপজেলা পরিষদের নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জাহিদ হাসান প্রিন্স, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক উপঅধিনায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজায়াত আলী ফকির, জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মৌলানা আক্তারুজ্জামান সিদ্দিকী, হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ জামালপুর জেলা কমিটির সভাপতি এলকে পন্ডিত, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক ও জামালপুর অনলাইন জার্নালিস্ট নেটওয়ার্কের সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, প্রেসক্লাব জামালপুরের সহসভাপতি মুখলেছুর রহমান লিখন প্রমুখ।

সভার শুরুতে সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উপর ধারণাপত্র উপস্থাপন করেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের নির্বাহী হাকিম ও সহকারী কমিশনার গাজী আশিক বাহার।

জানা যায়, এ যাবৎ জামালপুরে মাত্র ২৮৬ জন পেনশন স্কিম খুলেছে। এ হতাশাজনক অবস্থার বিপরীতে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক স্কিম খোলার জন্য সবাইকে কাজ আহ্বান জানান বক্তারা। কোন ধরনের গুজবে সাড়া না দেওয়ার জন্য ব্যাপকভাবে প্রচারণার কথা সভায় উল্লেখ করা হয়।।

সভা সূত্র জানায়, সকল শ্রেণি ও পেশার ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী মানুষের জন্য সর্বজনীন পেনশন স্কিমে অংশগ্রহণের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ বিবেচনায় ৫০ বছর বয়সে উর্ধে ব্যক্তিরাও পেনশন স্কিমে অংশ নিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে ১০ বছর নিরবিচ্ছিন্ন ভাবে চাঁদা প্রদান করলে আমৃত্যু পেনশন সুবিধা পাবেন।

চার ধরনের পেনশন স্কিম চালু আছে এরমধ্যে প্রবাস স্কিম, সুরক্ষা স্কিম, প্রগতি স্কিম ও সমতা স্ক্রিম।

জেলায় সকল কর্মরত বেসরকারি সংস্থাসমূহ, ইমাম, শিক্ষক, সাংবাদিকসহ অন্যান্য অংশজনরা সর্বজনীন পেনশন স্কিমকে সামাজিক আন্দোলনে নিয়ে যাওয়ার জন্য সভা থেকে উদাত্ত আহ্বান জানানো হয়।।