বকশীগঞ্জে নিলামকৃত গাছ না কাটায় আতঙ্কে এলাকাবাসী, দুর্ঘটনার আশঙ্কা

৫০ বছরের পুরনো রেইনট্রি গাছ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

জিএম ফাতিউল হাফিজ বাবু
বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

জামালপুরের বকশীগঞ্জে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দুটি রেইনট্রি গাছ দেড় বছর আগে নিলাম হলেও নির্ধারিত সময়ে নিলামকৃত গাছগুলো না কাটায় আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী।

সম্প্রতি একটি গাছের একটি বড় ডাল বিদ্যালয় সংলগ্ন জামাল মিয়ার মুদি দোকানের ওপর ভেঙে পড়ায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে গেছেন দোকান মালিক জামাল মিয়াসহ আরও ৬ ব্যক্তি।

জানা গেছে, গত ২০ ফেব্রুয়ারি বাট্টাজোড় ইউনিয়নের চন্দ্রাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত প্রায় ৫০ বছরের পুরনো পরিপক্ক একটি রেইনট্রি গাছের বড় ডাল স্থানীয় জামাল মিয়ার মুদি দোকানের ওপর ভেঙে পড়ে। এতে করে অল্পের জন্য রক্ষা পান দোকান মালিক জামাল মিয়াসহ কয়েকজন।

এঘটনার পর স্থানীয় এলাকাবাসী ওই বিদ্যালয়ের বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতান আহমেদের কাছে ভেঙে পড়া গাছটি অপসারণের দাবি জানান কিন্তু প্রধান শিক্ষক তাদের জানান ভেঙে পড়া গাছটি দেড় বছর আগে নিলামে বিক্রি করা হয়েছে। একই সঙ্গে আরও একটি গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়েছে।

রেইনট্রি গাছের বড় ডাল স্থানীয় জামাল মিয়ার মুদি দোকানের ওপর ভেঙে পড়ে।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

স্থানীয় এলাকাবাসীর অভিযোগ, গাছ দুটি অনেক বছর আগের হওয়ায় গাছের বড় বড় ডালগুলো ভেঙে পড়ছে। একারণে সাধারণ পথচারীসহ গাছ দুটির আশপাশে থাকা বাড়ির মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়েছে। ফলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছেন তারা।

চন্দ্রাবাজ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন হযরত আলী ও দোকান মালিক জামাল মিয়া জানান, আমরা প্রতিনিয়ত আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছি। গাছটি যেকোন সময় ভেঙে পড়ে আমাদের ঘর বাড়িসহ আমার পরিবারের সদস্যদের মারাত্মক ক্ষতি হতে পারে।

তারা আরও বলেন, যেহেতু গাছগুলো নিলামে দেওয়া হয়েছে তাই দ্রুত কেটে ফেললেই আমরা নিশ্চিন্তে থাকতে পারি। একারণে তারা ঠিকাদার খোকন মিয়াকে দায়ী করেন।

ঠিকাদারের গাফলতির কারণে এমনটা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন তারা।

চন্দ্রাবাজ সরকারি প্রথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এ কে এম হামিদুল্লাহ জানান, দেড় বছর আগে এই বিদ্যালয়ের দুটি গাছ নিলামে বিক্রি করা হয়। কিন্তু এখন পর্যন্ত গাছ দুটি কেটে নিয়ে যায়নি ঠিকাদার। ফলে গাছ দুটি নিয়ে বড় ধরনের আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে সাধারণ শিক্ষার্থী ও আশপাশের মানুষের মধ্যে। তিনি এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

এ ব্যাপারে ঠিকাদার খোকন মিয়ার সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আবু হাসান রেজাউল করিম জানান, নিলামকৃত গাছের ডাল ভেঙে পড়ে একটি দোকানের ক্ষতি হয়েছে। তাই আগের নিলামটি বাতিল করে নতুন করে শিগগিরই নিলাম প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।