অভিন্ন চাকরিবিধিসহ ১৬ দফা দাবিতে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলন

বিভিন্ন দাবি সম্বলিত প্ল্যাকার্ড হাতে জামালপুর পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মোস্তফা মনজু
জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অভিন্ন চাকরবিধি বাস্তবায়নসহ ১৬টি দাবিতে বিদ্যুৎ সচল রেখে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির (পবিস) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। ৫ মে সকালে বেলটিয়ায় জামালপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অফিস প্রাঙ্গণে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

জামালপুর পবিস’র অপারেশন এবং রক্ষণাবেক্ষণ বিভাগের সহকারী মহাব্যবস্থাপক সাধন কুমার মন্ডল, নান্দিনা আঞ্চলিক কর্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক মো. শামীম খান, পবিস বকশীগঞ্জ আঞ্চলিক কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক জয় প্রকাশ নন্দী, অফিস সহকারী দীপা খাতুন, ডাটা এন্ট্রি অপারেটর নাইমা সিদ্দিকা, চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার-মেসেনজার মো. আসাদ, মিটার রিডার শেখ ফরিদ, ওয়ার্কসশপকর্মী সাজু মিয়া প্রমুখ।

জামালপুরে অভিন্ন চাকরিবিধিসহ ১৬ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে পবিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মানববন্ধন। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

বক্তারা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদমর্যাদা সরকার ঘোষিত গ্রেডিং ১-২০ পর্যন্ত ছয় মাস পিছিয়ে পে-স্কেল ও শতকরা ৫ ভাগ বিশেষ প্রণোদনা প্রদান, এপিও বোনাস সমহারে না দেওয়া লাইনম্যানদের নির্দিষ্ট কর্মঘণ্টা ও কাজের জন্য প্রয়োজনীয় লাইনম্যান ও বিলিং সহকারী পদায়ন না করা, যথাসময়ে পদন্নোতি না করা, লাইনক্রু লেভেল-১ ও চুক্তিভিত্তিক মিটার রিডার কাম মেসেনজার, কাজ নাই মুজুরি নাই (কানামুনা) ভিত্তিক বিলিং সহকারীদের চাকরি নিয়মিত না করা, স্মারকলিপিতে অংশগ্রহণ করায় ভোলা পবিস’র সহকারী মহাব্যবস্থাপক আইটি ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক অর্থকে সাময়িক বরখাস্ত, সিরাজগঞ্জ পবিস-২ এর উপ-মহাব্যবস্থাপক (কারিগরি) ও সহকারী মহাব্যবস্থাপক আইটি-কে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডে সংযুক্ত করায়, পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের শোষণ, নির্যাতন, নিপীড়ন বন্ধ ও ভবিষ্যতে আধুনিক বিদ্যুৎ ব্যবস্থা গড়ার লক্ষ্যে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড ও পবিস এ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়নের দাবি জানান।

দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যুৎ সচল রেখে কর্মবিরতি অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেন বক্তারা। পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জামালপুরের প্রধান কার্যালয়সহ সারাজেলায় বিভিন্ন পদে কর্মরত তিনশতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী, চুক্তিভিত্তিক ও কানামুনা কর্মচারীরা এ কর্মসূচিতে অংশ নেন।