ভাষার জন্য জীবন দান করা সাহসী জাতি আমরা : ধর্মমন্ত্রী ফরিদুল হক খান

ইসলামপুরে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

লিয়াকত হোসাইন লায়ন
ইসলামপুর প্রতিনিধি, বাংলারচিঠিডটকম

ধর্মমন্ত্রী মো. ফরিদুল হক খান এমপি বলেছেন, আমরাই একমাত্র জাতি- যারা মাতৃভাষার মর্যাদার জন্য জীবন উৎসর্গ করেছে। আমাদের মাতৃভূমির সাহসী সন্তানেরা দৃষ্টান্ত স্থাপন করে গেছেন।

একুশে ফেব্রুয়ারি জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে তিনি এসব কথা বলেন।

ধর্মমন্ত্রী আরও বলেন, ১৯৪৭ সালে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পাকিস্তান সৃষ্টির পর প্রথম আঘাত আসে আমাদের মাতৃভাষা বাংলার ওপর। আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান তখন এই অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ করেছিলেন। ১৯৪৮ সালে বঙ্গবন্ধুর প্রস্তাব অনুযায়ী ছাত্র সংগঠনগুলোর সমন্বয়ে রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ বাংলাকে পাকিস্তানের অন্যতম রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে তারা ধর্মঘটের ডাক দেয় এবং সেদিন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, ভাষার সংগ্রাম বাঙালি জাতীয়তাবাদ আন্দোলনেও গতি ও শক্তি যুগিয়েছে। ভাষা আন্দোলনের বিজয় বাঙালিকে বাংলাদেশের স্বাধীনতার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল। আমাদের ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে বিশ্বব্যাপী ভাষাগত বৈচিত্র্য এবং বহুভাষিকতার প্রচারের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা বাংলাদেশের অবদানেরই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ভাষা আন্দোলনের চেতনাকে আন্তর্জাতিকীকরণে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছেন। সর্বাত্মক প্রচেষ্টার ফলে ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর জাতিসংঘ একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ঘোষণা করে।

সভায় উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী আব্দুস সালাম, সহ-সভাপতি আব্দুল লতিফ সরকার, জামাল আবু নাছের চৌধুরী চার্লেস, মজিবর রহমান শাহজাহান, আব্দুর রাজ্জাক লাল মিয়া, যুগ্ম সম্পাদক জিয়াউল হক সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান, সরদার জাকিউল হক, আব্দুল খালেক আকন্দ, যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।