দুর্ভোগ আর বঞ্চনার অবসান চায় ধোপাকুড়িবাসী

তিরুথা বটতলা বাজার-স্লুইস গেট রাস্তার বেহালদশা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

: জাহাঙ্গীর সেলিম :

সরকার আসে সরকার যায়, ভোট নিয়ে চেয়ারম্যান, মেম্বার, এমপি, মন্ত্রী হয় আমাদের বরেণ্য নেতারা। শুধু দুর্ভাগ্য আর চরম দুর্ভোগের যন্ত্রণা নিয়ে বসবাস করে জামালপুর সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের ধোপাকুড়ি এলাকার হতভাগ্য মানুষজন এবং ওই এলাকার প্রধান সড়ক দিয়ে চলাচলকারী মানুষ আর যানবাহনের যাত্রীরা।

এরশাদ সরকারের শাসনামলে জনগুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তায় ইটের সলিং করার পর গত ৩৩ বছরে কোন জনপ্রতিনিধি এদিকে আর ফিরেও তাকায়নি। তবে হ্যাঁ, নির্বাচনী মৌসুমে বসন্তের কোকিলের মতো ভোট চাইতে এসে সড়কটি কার্পেটিং করে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে সেই যে উড়ে যায় আর ফিরেও তাকায় না।

তিরুথা বটতলা বাজার-স্লুইস গেট রাস্তার বেহালদশা। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

হ্যাঁ, আমি জামালপুর পৌরসভার তিরুথা বটতলা বাজার থেকে স্লুইস গেট হয়ে কেন্দুয়া ইউনিয়নের কালাবহ পর্ড়ন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার বিধ্বস্ত সড়কটির কথা বলছি। খানাখন্দেপূর্ণ এ সড়কে প্রতিদিন হাজার মানুষ চলাচল কর। প্রতিদিনই প্রায় দুর্ঘটনার শিকার হন অসহায় যাত্রী, পথচারীরা।

এবারো জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে প্রার্থী আবুল কালাম আজাদ মহোদয় কথা দিয়েছিলেন তিনি এমপি নির্বাচিত হলে এ সড়কসহ সদর উপজেলার প্রতিটি কাঁচা সড়ক পাকা করে দিবেন। তিনি নির্বাচিত হয়েছেন। মানুষ এবারো আশায় বুক বেঁধেছেন এবার তাদের সুদীর্ঘ বঞ্চনার অবসান হবে। এখন সময়ের অপেক্ষায় তাকিয়ে আছে সদরবাসী। আমরা বিশ্বাস করি চৌকস ও কমিটেড সর্বজন শ্রদ্ধেয় আবুল কালাম আজাদ এমপি মহোদয় সদরবাসীর প্রত্যাশার আলো জ্বালবেনই।

প্রিয় সদরবাসী এ ধরনের রাস্তা, ঘাটসহ জনগুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো আমাকে তথ্য, ছবি দিয়ে পাঠালে আমি ধারাবাহিকভাবে লিখব।