বিপুল ভোটে ৬ষ্ঠ বারের মতো এমপি হলেন মতিয়া

বেগম মতিয়া চৌধুরী

সুজন সেন
নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম

আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী ৬ষ্ঠ বারের মতো এমপি নির্বাচিত হয়েছেন। নালিতাবাড়ী ও নকলা উপজেলা নিয়ে গঠিত শেরপুর-২ আসনে বিপুল ভোটে পেয়ে তিনি ডাবল হেট্রিক করলেন।

জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কর্তৃক ৭ জানুয়ারি রাতে প্রকাশিত ফলাফলে তিনি নৌকা প্রতীকে দুই লাখ ২০ হাজার ১৪২ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া পেয়েছেন ৪ হাজার ৫৭৬ ভোট।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, বেগম মতিয়া চৌধুরী ১৯৯১ সালে প্রথমবারের মতো শেরপুর-২ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ১৯৯৬ সালে পুনরায় দ্বিতীয় বারের মতো একই আসন থেকে নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালে সামান্য ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী মরহুম জাহেদ আলী চৌধুরীর কাছে পরাজিত হন।

পরবর্তীতে ২০০৮ সালে বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিএনপি প্রার্থী জাহেদ আলী চৌধুরীকে হারিয়ে তিনি পুনরায় তৃতীয় বারের মতো এ আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হন। এরপর ২০১৪, ২০১৮ এবং সবশেষ ২০২৪ এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আবারও টানা চারবার এমপি নির্বাচিত হন বেগম মতিয়া চৌধুরী।

এ নিয়ে তিনি ডাবল হেট্রিক করে ৬ষ্ঠ বারের মতো এমপি নির্বাচিত হলেন।

৮ জানুয়ারি সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয় ব্যবসায়ী আলফাজ মিয়া বলেন, বেগম মতিয়া চৌধুরী বিগত সময়ে তার নির্বাচনী এলাকায় সর্বক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন। এ কারণে তিনি এবারও বিপুল ভোটে এমপি নির্বাচিত হয়েছেন।

আরেক ব্যবসায়ী বাধন শেখ বলেন, স্থানীয়দের কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষে নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী পোড়াগাঁও ইউনিয়নের খলচান্দা কোচপাড়া গ্রামে বর্ডার হাট স্থাপনের প্রস্তাবনা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। ওই বর্ডার হাট চালু হলে বহু তরুণ-তরুণীর ভাগ্য বদলে যাবে।

স্থানীয় কৃষক লিয়াকত মিয়া বলেন, নয়াবিল ইউনিয়নের দাওধারা পাহাড়ি এলাকায় নতুন করে একটি পর্যটন কেন্দ্র ও ক্ষুদ্র নৃ- গোষ্ঠী সম্প্রদায়ের জন্য একটি কালচারাল একাডেমি স্থাপনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে বেগম মতিয়া চৌধুরীসহ মোট তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করেন বাকিরা হলেন জাসদের লাল মোহাম্মদ শাহজাহান কিবরিয়া ও স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ সাইদ আঙ্গুর।