শিশুবান্ধব জামালপুর প্রতিষ্ঠায় সংসদ সদস্য প্রার্থীদের অঙ্গীকার

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের হাতে স্মারকলিপি দেন জেলা শিশু ও যুব ফোরামের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শিশু ও যুববান্ধব জামালপুর প্রতিষ্ঠায় জামালপুর-৫ (সদর) আসনের প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। ৪ জানুয়ারি জেলা শিশু ও যুব ফোরামের একটি প্রতিনিধিদল প্রার্থীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ১৭ দফা দাবিতে স্মারকলিপি দিলে তাঁরা সেই অঙ্গীকার করেন ।

সকাল ৯টায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আবুল কালাম আজাদের বাসায়, সকাল ১১টায় জাতীয় পার্টির লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেনের সাথে সেতুলী বেম্বো গার্ডেনে এবং দুপুর ১২টায় স্বতন্ত্র ঈগল প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর বাসভবনে গিয়ে স্মারকলিপি পাঠ ও প্রার্থীদের হাতে জমা দেওয়া হয়।

লাঙল প্রতীকের প্রার্থী জাকির হোসেনের হাতে স্মারকলিপি দেন জেলা শিশু ও যুব ফোরামের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

শিশুদের স্মারকলিপি পেয়ে আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমি আমার নির্বাচনের মূলসুর রেখেছি স্মার্ট জামালপুর এবং ঘরে ঘরে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা। যে সমাজে শিশুদের স্বাভাবিক বিকাশ ঘটে সে দেশ দ্রুত উন্নয়ন অগ্রগতির দিকে ধাবিত হয়। আমি সংসদে যেতে পারলে স্মারকলিপিতে উল্লেখিত প্রতিটি দফা বাস্তবায়নে চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ।

রেজাউল করিম রেজনু বলেন, শিশু অধিকার প্রতিষ্ঠায় আমি উন্নয়ন সংঘের প্রতিটি সামাজিক আন্দোলনে পরোক্ষ ও প্রত্যক্ষভাবে সমর্থন দিয়েছি। আমি বিজয়ী হতে পারলে প্রচলিত আইনের কার্যকারিতার পাশাপাশি প্রয়োজনে নতুন আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করবো। জামালপুর হবে শিশুদের জন্য বাসযোগ্য নিরাপদ ভূমি।

জাকির হোসেন বলেন, জেলা শিশু ও যুব ফোরামের ১৭ দফা দাবিতে উপস্থাপিত স্মারকলিপি প্রদান একটি অভিনব উদ্যোগ। আমি বিজয়ী হই বা না হই উল্লেখিত দাবি বাস্তবায়নে আমি এ ফোরামের সাথে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করবো।

ঈগল প্রতীকের প্রার্থী রেজাউল করিম রেজনুর হাতে স্মারকলিপি দেন জেলা শিশু ও যুব ফোরামের একটি প্রতিনিধিদল। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

স্মারকলিপি প্রদান করেন জেলা শিশু ফোরামের সভাপতি অর্পা আক্তার। এসময় অন্যান্যের মাঝে উপস্থিত ছিলেন উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম, জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রামের ব্যবস্থাপক মিনারা পারভীন, সিডিও সাব্বির হোসেন, ফোরামের সদস্য অর্পা, ইশতিয়াক, অন্তর, শীলা, জোলকার নাইন, সিফাত প্রমুখ।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়- জামালপুরে ইট পাথরের অনেক উন্নয়ন হলেও মানবিকতার বিকাশ বিশেষ করে শিশু, কিশোরদের সর্বোত্তম সুরক্ষায় আশাব্যঞ্জক উন্নয়ন বা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সমাজে পারিবারিক জীবন শিক্ষা, ধর্মীয় অনুশাসন, বাঙালি সংস্কৃতি ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী কার্যক্রম বেশি পরিলক্ষিত হচ্ছে। এ অবস্থা উত্তরণে শিশুর প্রতি সকল প্রকার সহিংসতা বন্ধ করার পাশাপাশি তাদের স্বাভাবিক বিকাশ ও সার্বিক উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা গ্রহণ, মাদক, পলিথিন, বাল্যবিয়ে ও দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গঠনে স্মার্ট পরিকল্পনা গ্রহণ, স্মার্ট জামালপুর প্রতিষ্ঠায় যুবকদের কারিগরি, মানবিক ও নেতৃত্ব বিকাশের জন্য প্রশিক্ষণের আয়োজন করা, বেকার যুবকদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থাসহ ১৭ দফা দাবি উল্লেখ করা হয়।

এ ধরনের অভিনব উদ্যোগ গ্রহণ করার জন্য আয়োজকদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন সকল প্রার্থী।

উন্নয়ন সংঘ ও ওয়ার্ল্ড ভিশনের বাস্তবায়নাধীন জামালপুর এরিয়া প্রোগ্রাম (এপি) এই  উদ্যোগে সহযোগিতা করে।