সাংগঠনিক সম্পাদক পদ হারালেন আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু

মো. আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

নিজ দলীয় নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ হারালেন জামালপুর-৫ সদর আসনের ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু। ৩০ ডিসেম্বর সকালে তাকে তার পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চূড়ান্তভাবে দল থেকে বহিষ্কারের জন্য কারণ দর্শানোর চিঠি দিয়েছে।

৩০ ডিসেম্বর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৭ ডিসেম্বর দুপুরে সদর আসনের শাহবাজপুর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কৈডোলা হক দাখিল মাদরাসা মাঠের পাশে স্থানীয় বিএনপি দলীয় সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ীদের মদদ দিয়ে নৌকা প্রতীকের প্রচারকেন্দ্রে হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ ও চারজনকে গুরুতর করার ঘটনা ঘটিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু। ওই ঘটনায় নির্যাতনের শিকার নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর একজন কর্মী বাদী হয়ে আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবুসহ ২৫ জনকে আসামি করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।

এ ঘটনায় নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার ষড়যন্ত্রে সামিল হয়ে দলীয় শৃংখলা ভঙ্গের অভিযোগে দলীয় গঠনতন্ত্রের বিধান অনুযায়ী আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবুকে তার জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

একই সাথে তাকে কেন চূড়ান্তভাবে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগকে সুপারিশ করা হবে না, এই মর্মে আগামী সাতদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেওয়া হয়েছে।

এদিকে আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবুকে তার দলীয় সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ।

এদিকে দল থেকে সদ্য অব্যাহতি পাওয়া জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান সমন্বয়কারী আসাদুজ্জামান আকন্দ বাবু বাংলারচিঠিডটকমকে বলেন, কেন্দ্রীয়ভাবে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বিধি নিষেধ না থাকায় আমি স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে কাজ করছি। কৈডোলা গ্রামে নৌকার প্রচারকেন্দ্র ভাংচুর ও হামলার ঘটনার সাথে আমি জড়িত ছিলাম না। ওইদিন একই সময়ে আমি সদরের নান্দিনায় একজন ব্যবসায়ীর মৃত্যুতে তার জানাজায় গিয়েছিলাম। ওই জানাজায় নৌকা ও লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থীরাও ছিলেন। অথচ আমাকে ওই মামলার আসামি করা হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে যাতে কাজ করতে না পারি এজন্যই নৌকার প্রার্থীর পক্ষ থেকে পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ এনে মামলাটির প্রধান আসামি করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় নির্দেশ অমান্য করে আমাকে দল থেকে অব্যাহতি দেওয়ার এখতিয়ার নেই তাদের। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই।