সরিষাবাড়ীতে সাংবাদিক শফিককে হুমকি, স্বতন্ত্র প্রার্থীর এজেন্টের বিরুদ্ধে থানায় জিডি

জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম :

জামালপুর-৪ (সরিষাবাড়ী) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসান এমপির প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল প্রথম আলোর সরিষাবাড়ী উপজেলা প্রতিনিধি মো. শফিকুল ইসলামকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় ২৫ ডিসেম্বর রাতে ওই সাংবাদিক সরিষাবাড়ী থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

অভিযোগে জানা গেছে, ২৫ ডিসেম্বর রাতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মো. মাহবুবুর রহমান ও ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসান এমপির নির্বাচনী প্রচারকেন্দ্রে হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। শফিকুল ইসলাম সহকর্মী ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি মো. শহিদুল ইসলাম নিরবকে সাথে নিয়ে একই মোটরসাইকেলে তথ্য সংগ্রহ করার জন্য সরিষাবাড়ী থানায় যাচ্ছিলেন। পথে রাত সাড়ে ৯টার দিকে থানা মোড়ে তাদের দেখে নিজ মোটরসাইকেল থামান ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসানের প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট পৌর কাউন্সিলর সাখাওয়াত আলম মুকুল।

এ সময় সাখাওয়াত আলম মুকুল নির্বাচন শেষ হলে সাংবাদিক শফিকুল ইসলামকে দেখে নেওয়া হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দেন। এতে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। এ ঘটনায় হুমকিদাতা সাখাওয়াত আলম মুকুলের নাম উল্লেখ করে ২৫ ডিসেম্বর রাতেই সরিষাবাড়ী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম।

সাংবাদিক মো. শফিকুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে বলেন, স্বতন্ত্র প্রার্থী ডা. মুরাদ হাসানের প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট সাখাওয়াত হোসেন মুকুল আমাকে নির্বাচনের পর দেখে নেওয়া হবে বলে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছেন। এতে আমি পরিবার পরিজনসহ নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। বিষয়টি নিয়ে আমি থানায় সাধারণ ডায়েরি করে জীবনের নিরাপত্তা চেয়েছি।

এ প্রসঙ্গে স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রধান নির্বাচনি এজেন্ট সাখাওয়াত আলম মুকুল এ প্রতিবেদককে বলেন, ২৫ ডিসেম্বর রাতে আমাদের ঈগল প্রতীকের নির্বাচনি প্রচারকেন্দ্রে হামলার ঘটনার সময় সাংবাদিক শফিকুল ইসলাম তথ্য সংগ্রহের নামে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর সমর্থকের মতো কথাবার্তা বলছিলেন। এ নিয়ে তার সাথে আমার বেশ কথা হয়েছে। কিন্তু তাকে আমি হুমকি দেইনি। তার অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা।

এ প্রসঙ্গে সরিষাবাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মুশফিকুর রহমান এ প্রতিবেদককে বলেন, প্রথম আলোর সাংবাদিক শফিকুল ইসলামের সাধারণ ডায়েরিটি ২৫ ডিসেম্বর রাতেই নথিভুক্ত করেছি। ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে জিডিও কপি আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।