সমন্বিত উদ্যোগে জামালপুরের উন্নয়ন আরও বেগবান করতে হবে : জেলা প্রশাসক

সভায় বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম

মাদক, অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, নারী, শিশু নির্যাতনমুক্ত, যানজটমুক্ত একটি শান্তিপূর্ণ জেলা প্রতিষ্ঠায় এবং চলমান উন্নয়ন গতিকে আরো বেগবান করতে সকলের সমন্বিত উদ্যোগ ও সহযোগিতা একান্ত প্রয়োজন। আমরা সেক্টরভিত্তিক প্রতিটি কাজ স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা এবং সময়মতো সম্পন্ন করতে চাই। ৮ অক্টোবর জামালপুরে অনুষ্ঠিত জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভায় সভাপতির বক্তব্যে কথাগুলো বলেন নবাগত জেলা প্রশাসক মো. শফিউর রহমান।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন পুলিশ সুপার মো. কামরুজ্জামান বিপিএম, অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী হাকিম সাইফুল ইসলাম, সিভিল সার্জন ডা. প্রনয় কান্তি দাস, জামালপুর জেনারেল হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মাহফুজুর রহমান, এনএসআই এর উপপরিচালক বোরহান উদ্দিন, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, বীর মুক্তিযোদ্ধা সুজাত আলী ফকির, জামালপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি হাফিজ রায়হান সাদা, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম এ জলিল, জেলা দুর্নীতি প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক জাহাঙ্গীর সেলিম প্রমুখ।

সভায় ৭ উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণসহ জেলার সংশিষ্ট সরকারি দপ্তরের প্রধানগণ, এনজিও প্রতিনিধি ও অন্যান্য সদস্যগণ অংশ নেন।

জামালপুর জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সম্প্রতি জামালপুরে নারী, শিশু নির্যাতন, ধর্ষণের মাত্রা আশঙ্কাজনকহারে বৃদ্ধি পাওয়ায় সভায় উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়। যৌন নির্যাতনের বিরুদ্ধে সামাজিক জাগরণ সৃষ্টি করতে সম্মিলিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে সবাই অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন। পাশাপাশি অবৈধ বালু উত্তোলন বন্ধ, ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণ, মাদক, বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ, আসন্ন দুর্গা পূজা শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপনে পদক্ষেপ গ্রহণ, শহরের প্রধান সড়ক দ্রুত সংস্কারকরণ, পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন নগর প্রতিষ্ঠাসহ সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে বহুমাত্রিক কার্যক্রম গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান বিপিএম বলেন, জামালপুর এখন আর দরিদ্র নেই। প্রথমসারির ১০টি জেলার মধ্যে গণ্য হতে যাচ্ছে আমাদের জেলা। এখানে কোন বিভেদ নয় ঐক্যমতের ভিত্তিতে সকলের সহযোগিতা নিয়ে কাজ করতে পারলে সফলতা আসবেই। আমরা যৌনপল্লীর মাদক নিয়ন্ত্রণ করতে সক্ষম হয়েছি। সবাই সহযোগিতা করলে মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন মোকাবেলা করা সম্ভব। যানযট নিরসনে সপ্তাহব্যাপী ট্রাফিক অভিযান পরিচালনা করে সহনীয় পর্যায়ে নিয়ে আসবো। হাসপাতালকে দালালমুক্ত করতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের সহযোগিতা লাগবে। আমরা মামলার জট কমিয়ে বিট পুলিশিং এবং গ্রাম্য সালিশি ব্যবস্থার প্রতি জোরারুপ করছি।