রাজাকার ও আল বদরের সন্তানেরা এখন বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে : মির্জা আজম

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

আলী আকবর, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম:
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রাচীনতম দল আওয়ামী লীগ। বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমান। আর তার পরিচয় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুসহ তার পরিবারের সবাইকে হত্যাকারী এবং জিয়া একজন খুনি। স্বাধীনতা বিরোধীতাকারী রাজাকার ও আল-বদরের সন্তানেরা এখন বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে।

২৫ আগস্ট জামালপুরের মেলান্দহ উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মির্জা আজম এমপি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ছয় বছর ক্ষমতায় থেকে জিয়াউর রহমান, ক্ষমতা থেকে ঢাকায় কারফিউ জারি করে গণতন্ত্র কায়েম করেছিল। সেনাবাহিনী নৌবাহিনী বিমান বাহিনীর মুক্তিযোদ্ধা পক্ষের সেনাবাহিনী, বিমান বাহিনীর কর্মকর্তাদের বিভিন্ন মামলা দিয়ে কারাগারে বন্দী করা হতো। পরে কারাগারের ভিতরে প্রতিদিন রাতে কম করে হলেও ৮ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে হত্যা করা হতো। এইভাবে সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনীর প্রায় ১৩০০ লোককে হত্যা করেছে।

তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ক্ষমতা আসার পর একজনকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিলেন তার সাথে অনেক সেক্টর কমান্ডার ছিলেন কোন সেক্টর কমান্ডার, কোন মুক্তিযোদ্ধা এবং বীর উত্তম খেতাবধারী কাউকে তিনি পছন্দ করতেন না। তিনি ১৯৭১ সালের কুখ্যাত রাজাকার শাহবাজকে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত করেছিলেন। মাওলানা মান্নান রাজাকার তাকে মন্ত্রী বানিয়েছিলেন। পাকিস্তানি নাগরিক গোলাম আযমকে দেশে আশার অনুমতি দিয়ে গণতন্ত্রের নামে জামায়াতে ইসলামকে বাংলাদেশে রাজনীতি করার সুযোগ দিয়েছিল জিয়াউর রহমান।

মির্জা আজম এমপি আরও বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনাকে আবারও নির্বাচিত করতে হবে। আর শেখ হাসিনা যদি নির্বাচিত না হয় তাহলে এই দেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় যারা আসবে তারা এই বাংলাদেশকে আর বাংলাদেশ রাখবে না। তারা এই বাংলাদেশকে পাকিস্তান বানাতে চায়।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. জিন্নাহর সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি বক্তব্য রাখেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইনজীবী মুহাম্মদ বাকী বিল্লাহ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মো. কামরুজ্জামান, জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আমিন চাঁন, মেলান্দহ পৌরসভার মেয়র শফিক জাহেদী রবিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ এমদাদুল ইসলামসহ আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।