বাল্যবিয়ে বন্ধে প্রান্তিক মানুষের কাছে বার্তা পৌঁছাতে হবে : জেলা প্রশাসক

সভায় বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ।ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: জামালপুর জেলা প্রশাসক মো. ইমরান আহমেদ বলেন, এসিরুমে বসে আমরা যারা সচেতন, সববিষয়ে কম বেশি ধারণা রাখি তাদের সাথে মিটিং করার চেয়ে বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে হলে এর কূফল বার্তাগুলো প্রান্তিক মানুষের কাছে পৌঁছাতে হবে। জেলা পর্যায়ে এ ধরনের সভার খরচ দিয়ে গ্রামে ১০টি সমাবেশ করা যাবে। উপকারও বেশি হবে।

২০ আগস্ট জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর আয়োজিত বাল্যবিয়ে প্রতিরোধ তরান্বিতকরণ প্রকল্পের অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

জেলা প্রশাসক আরও বলেন, বাল্যবিয়ে বন্ধ করতে পারলে দেশের অর্ধেক সমস্যা কমে যাবে। বিশেষ করে মাতৃমৃত্যু, শিশুমৃত্যু, নারী-শিশু নির্যাতন, প্রতিবন্ধিতা, আত্মহত্যা, পুষ্টিহীনতা, রক্তস্বল্পতা, তালাক, বহুবিবাহসহ সামাজিক অসংখ্য ব্যাধি ও অপরাধ হ্রাস পাবে। তাই সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে তৃণমূল পর্যায়ে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো. মোক্তার হোসেন। এতে অন্যান্যের মাঝে আলোচনায় অংশ নেন জামালপুর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবু, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক নাসরিন আক্তার, জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এমএ জলিল, উন্নয়ন সংঘের মানবসম্পদ উন্নয়ন পরিচালক সাংবাদিক জাহাঙ্গীর সেলিম, তরঙ্গ মহিলা কল্যাণ সংস্থার নির্বাহী পরিচালক শামীমা খান, জেন্ডার প্রমোটর মনিকা মুন প্রমুখ। এছাড়াও সভায় সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের অর্ধশতাধিক প্রতিনিধি অংশ নেন।

সভায় জানানো হয়, বাল্যবিয়ে ও গর্ভধারণের ঝুঁকিতে থাকা কিশোরীদের সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাল্যবিয়ে হ্রাসে অবদান রাখা এবং বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে কর্মের গতি বাড়ানোর উদ্দেশ্যে বাস্তবায়নাধীন প্রকল্পের আর্থিক সহায়তা করছে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ)।

সভায় বাল্যবিয়ে প্রতিরোধকল্পে খসড়া জেলা কর্মপরিকল্পনা উপস্থাপন করা হয়। উপস্থিত প্রতিনিধিরা কর্মপরিকল্পনার উপর বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেন। ২০২৩ থেকে ২০৩০ সাল পর্যন্ত এ কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হয়।