রাজাকারের সন্তানেরা আজ বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে : মির্জা আজম এমপি

বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম: বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি বলেছেন, স্বাধীনতার সেই পরাজিত শক্তিরা আজ ঐক্যবদ্ধভাবে আগামী নির্বাচনে শেখ হাসিনা যাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে না পারে তার জন্য তারা ষড়যন্ত্র করছে। সেই ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে বিএনপির জাতীয়তাবাদী টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী দল আজ তারা তারুণ্যের সমাবেশ করছে। বিএনপি আজ একের পর এক কর্মসূচি দিচ্ছে। আজ বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সেই ফখরুল একজন রাজাকারের সন্তান। তার বাবা ঠাকুরগাঁয়ের ১৯৭১ সালের শান্তি কমিটির নেতা ছিলেন। রাজাকারের সন্তানেরা আজ বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে।

২২ জুলাই বিকেলে বকুলতলাস্থ জেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয় প্রাঙ্গণে জামালপুর জেলা যুবলীগ আয়োজিত তারুণ্যের জয়যাত্রা সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, আজকে যে বিরোধী দলের আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলন ষড়যন্ত্রের আন্দোলন। যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল ১৯৭১ সালেও। এই বাংলাদেশের জন্মের তারা বিরোধিতা করেছিল। আলবদর, আলশামস, রাজাকার ১৯৭১ সালে সেই পাকিস্তানী হানাদারদের পক্ষে বাংলাদেশের জনগণের ওপর ঝাপিয়ে পড়েছিল। আর তখন আন্তর্জাতিক শক্তি এই বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছিল।

মির্জা আজম বলেন, আজকে ওই রাজাকারের ছেলে কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধী সালাহ উদ্দিন কাদের চৌধুরী ১৯৭১ সালে শত শত মানুষকে হত্যা ও নারী ধর্ষণ করেছে। সেই যুদ্ধাপরাধী সালাহ উদ্দিন কাদেরের ছেলেরা আজ বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছে। আজ বিএনপির কেন্দ্র, জেলা ও থানা পর্যায়ে বেছে বেছে বের করুন ১৯৭১ সালে বর্তমান বিএনপির নেতৃত্ব যারা দিচ্ছে তাদের বাবা, চাচা ও দাদারা, তারা সবাই ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা বিরোধিতা করেছিল। তারা আজ ঐক্যবদ্ধভাবে মাঠে নেমেছে শেখ হাসিনাকে আর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসতে দিবে না। যতই ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত হোকনা কেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা কারো সাথে আপস করবে না, মাথা নত করবে না। আগামী নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মীদের সংগঠন গোছানোর মধ্য দিয়ে প্রস্তুতি নেয়ার আহ্বান জানান তিনি।

জামালপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি রাজন সাহা রাজুর সভাপতিত্বে ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী রাশেদুল ইসলাম খোকনের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ফারুক আহাম্মেদ চৌধুরী, সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা, অধ্যক্ষ আশরাফ হোসেন তরফদার, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু, কেন্দ্রীয় যুবলীগের উপ-ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন, সহ-সম্পাদক মির্জা নাসিউল আলম শুভ্র, সদস্য শেখ রাসেল, জেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি এরশাদ হোসেন সোহেল, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মামুন হোসেন পিপলু, সাংগঠনিক সম্পাদক আল আমিন, রাশেদুল হক শোভন ও শাহবির ইসলাম দোলন প্রমুখ।

যুবলীগের জয়যাত্রা সমাবেশে বিভিন্ন উপজেলা, ইউনিয়ন ও ইউনিট যুবলীগের নেতৃবৃন্দ অংশ নেন।