অন্ধ্র প্রদেশ থেকে ভারতের তৃতীয় চাঁদ মিশন চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ

বাংলারচিঠিডটকম ডেস্ক : ভারত ১৪ জুলাই অন্ধ্র প্রদেশের শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ কেন্দ্র থেকে তৃতীয় চন্দ্র অনুসন্ধান মিশন-চন্দ্রযান-৩ সফলভাবে উৎক্ষেপণ করেছে।

মিশনের সাফল্যের সাথে চন্দ্রযান-৩ যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া এবং চীনের পর ভারতকে চতুর্থ দেশ হিসাবে চাঁদের পৃষ্ঠে তার মহাকাশযান অবতরণ করবে এবং চন্দ্র পৃষ্ঠের নিরাপদ এবং অবতরণে দেশের সক্ষমতা প্রদর্শন করবে।

মিশনটি ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা (আইএসআরও) চন্দ্রযান-২ অনুসরণ করে, যা ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে প্রায় চার বছর আগে চন্দ্রপৃষ্ঠে একটি কাংক্ষিত স্বাভাবিক অবতরণে ব্যর্থ হয়েছিল। চন্দ্রযান-৩ আগস্টের শেষের দিকে চন্দ্রপৃষ্ঠে অবতরণের আগে এক মাসেরও বেশি সময় ধরে যাত্রা করবে।

মিশনের তিনটি প্রধান উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেছে বলেছে চাঁদে নিরাপদ ও স্বভাবিক অবতরণ, রোভারটিকে তার পৃষ্ঠে ঘোরাফেরা করা এবং এর পরিবেশ অধ্যয়ন করা।

মহাকাশযানটিতে একটি ছয় চাকার ল্যান্ডার এবং রোভার মডিউল রয়েছে, যা চাঁদের পৃষ্ঠের সাথে সম্পর্কিত ডেটা সরবরাহ করার জন্য পেলোডের সাথে কনফিগার করা হয়েছে।

আইএসআরও প্রকল্পটি সম্পর্কে তার ওয়েবসাইটে ব্যাখ্যা করে বলেছে, “চন্দ্রযান-৩ একটি দেশীয় ল্যান্ডার মডিউল (এলএম), প্রোপালশন মডিউল (পিএম) এবং একটি রোভার নিয়ে গঠিত যার উদ্দেশ্য আন্তঃগ্রহ মিশনের জন্য প্রয়োজনীয় নতুন প্রযুক্তির বিকাশ এবং প্রদর্শন করা,” আইএসআরও এবং প্রাক্তন চেয়ারম্যান মাধবন নায়ার ও বিজ্ঞানী নাম্বি নারায়ণসহ মহাকাশ সংস্থার সাথে যুক্ত বিজ্ঞানীরা মিশনের সাফল্য সম্পর্কে উচ্চ আস্থা প্রকাশ করেছেন।

এদিকে বর্তমানে ফ্রান্সে থাকা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও আজ সকালে টুইট করে মিশন সম্পর্কে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেছেন যে এটি “ভারতের আশা ও স্বপ্ন” বহন করবে।

তিনি বলেন, “২০২৩ সালের ১৪ জুলাই ভারতের মহাকাশ সেক্টরের ক্ষেত্রে সর্বদা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। চন্দ্রযান-৩, আমাদের তৃতীয় চন্দ্র মিশন, তার যাত্রা শুরু করবে। এই অসাধারণ মিশনটি আমাদের জাতির আশা ও স্বপ্ন বহন করবে।”সূত্র:বাসস।