প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি মামলায় বিএনপিনেতা আলালসহ ৫ জনের জামিন

জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেন বিএনপির যুগ্মমহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ছবি : বাংলারচিঠিডটকম

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : জামালপুরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালসহ পাঁচজন বিএনপি নেতার জামিন মঞ্জুর করেছেন জামালপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালত।

১০ জুলাই বেলা ১২টার দিকে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে ওই পাঁচজন বিএনপিনেতা হাজির হয়ে জামিন আবেদন করলে সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এহসানুল হক তাদের জামিন মঞ্জুর করেন।

বিএনপিনেতাদের পক্ষের আইনজীবী ফজলুল হক জানান, গত ২ জুলাই জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনের আবেদন করা হয়। জামিনের আবেদনের পূর্ণাঙ্গ শুনানির দিন ১০ জুলাই বিজ্ঞ বিচারক সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এহ্সানুল হক আগামী ২৩ জুলাই পর্যন্ত পাঁচজন বিএনপিনেতাদের অন্তবর্তীকালীন অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে এই মামলায় উচ্চ আদালত থেকে ছয় সপ্তাহের জামিন নেন আসামিরা।

জামিন মঞ্জুর হওয়ার পর বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল সাংবাদিকদের বলেন, পরিকল্পিত মিথ্যা এবং ভূয়া মামলায় চারিদিকে যে জাল বিছিয়েছে এই সরকার সে জালের অংশ হিসেবে আজকে আমরা আদালতকে সম্মান প্রদর্শন করে হাজির হয়েছি। আদালত আমাদের অস্থায়ী জামিন মঞ্জুর করেছেন।

তিনি আরও বলেন, আগামী দিনের যে আন্দোলন এই মামলাবাজ, হামলাবাজ গুম করার সরকারকে হঠানোর জন্য যে আন্দোলনের কর্মসূচি আসবে নেতাকর্মীদের হাজারো মামলা, অত্যাচার উপেক্ষা করে সেই কর্মসূচিকে সফল করার আহ্বান জানান। এসময় তিনি জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম ও বিএনপিমনা আইনীজীবীদের আইনি সহায়তা করায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

উল্লেখ্য, রাজশাহীতে এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকি ও জামালপুরের এক জনসভায় ভীতিকর বক্তব্য প্রদান করায় রাজশাহীর বিএনপি নেতা আবু সাঈদ চাঁদ, বিএনপির যুগ্ম মহাসিচব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জলবায়ু বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল ও জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমসহ বিএনপি-জামাতের ৭ নেতার নামে ২৩ মে মামলা দায়ের করেন জামালপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিজন কুমার চন্দ।