‘অবুঝ দুই সন্তানের এখন কি হবে’

দুই সন্তানের সাথে মনিরুজ্জামান তালুকদার।

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: অবুঝ দুই সন্তান আব্দুল্লাহ আর রহমানের এখন কি হবে। তাদেরকে কে দেখবে। আমার স্বামীকে যারা মেরেছে আমি তাদের ফাঁসি চাই। আমি তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। বিলাপ করে কান্না জড়িত কন্ঠে কথাগুলো বলছিলেন রাজধানী ঢাকার ফার্মগেটে ছিনতাইকারীদের ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ কনস্টেবল মনিরুজ্জামান তালুকদারের স্ত্রী রুমি বেগম।

১ জুলাই দুপুরে সরেজমিনে নিহতের বাড়িতে গেলে স্বজনরা জানায়, ২৮ জুন স্ত্রী সন্তানের সাথে ঈদুল আজহা পালন করতে কর্মস্থল ঢাকা থেকে তিনদিনের ছুটিতে নিজ বাড়ি শেরপুরের শ্রীবরদীতে আসেন। ঈদের পরদিন ৩০ জুন রাতে বাড়ি থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে যান। ১ জুলাই সকালে বাড়িতে খবর আসে ঢাকার ফার্মগেট এলাকায় ছুরিকাঘাতে তিনি মারা গেছেন। এ খবর শুনার পর এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। বাড়িতে শুরু হয় শোকের মাতম।

স্থানীয় শাহ জামাল নামে একজন জানান, মনিরুজ্জামান খুব ভালো লোক ছিল। তার এমন মৃত্যুতে আমরা ভীষণ কষ্ট পেয়েছি।

তেজগাঁও থানার ওসি অপূর্ব হাসান জানান, ৩০ জুন দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে মনিরুজ্জামানকে ছুরিকাঘাত করে ছিনতাইকারীরা।

জানা গেছে, ট্রাফিক পুলিশ সদস্য মনিরুজ্জামান ঈদের ছুটি শেষে সকালে ঢাকায় ফেরেন। ট্রেনে করে ঢাকায় এসে তেজগাঁও রেল স্টেশনে নেমে পায়ে হেঁটে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন।

মনিরুজ্জামান শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার কুরুয়া তালুকদার বাড়ির বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল কাসেম তালুকদারের ছেলে। সে ঢাকার মোহাম্মদপুর এলাকার ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিল। তার স্ত্রী রুমি বেগম, দুই ছেলে সন্তান আব্দুল্লাহ (৪) ও আব্দুর রহমান (১) রয়েছে।