তিনশ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি : জি এম কাদের

শেরপুর সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাব দেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের। ছবি: বাংলারচিঠিডটকম

সুজন সেন, নিজস্ব প্রতিবেদক, শেরপুর, বাংলারচিঠিডটকম: আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনশ আসনেই প্রার্থী দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের। ১৩ জুন দুপুরে শেরপুর জেলা জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দিতে এসে স্থানীয় সার্কিট হাউজ মিলনায়তনে গণমাধ্যমকর্মীদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের বলেন, বর্তমান সরকারের অধীনে কোনভাবেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আশা করা যায় না। এর পরিবর্তন দরকার। পরিবর্তনটা কিভাবে হবে, তা সব দল-মত নির্বিশেষে সকলের সাথে কথা বলে একমত হতে হবে।

জি এম কাদের আরও বলেন, বর্তমান শাসনপদ্ধতিতে প্রধানমন্ত্রীর হাতে দেশের একশভাগ ক্ষমতা ন্যস্ত রয়েছে। কাজেই মন্ত্রী পরিষদ সম্পূর্ণ পরিবর্তন হলেও খুব একটা গুণগত পরিবর্তন হবে না।

ওই অবস্থায় জাতীয় পার্টি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সেটা পরিবেশ পরিস্থিতির উপর নির্ভর করবে। আমাদের নীতিনির্ধারণী যারা আছেন তাদের সাথে কথা বলে, দেশের মানুষের প্রত্যাশা অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

জাতীয় সংসদের বিরোধী দলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেন, সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসানীতি সমর্থন করে জাতীয় পার্টি। সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন যাতে হয়, সেজন্য তারা একটা ব্যবস্থা নিয়েছে। এটা তাদের দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়, এটা তাদের অধিকার আছে। তারা যদি দেখে অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিপক্ষে কোন লোক কাজ করছে, তাদের বিরুদ্ধে তারা ব্যবস্থা নেবে। তাদের এই ভিসানীতি সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়ক হবে।

ওইসময় জিএম কাদেরের সাথে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান এ বি এম রহুল আমীন হাওলাদার, মহাসচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুল হক চুন্নু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ফখরুল ইমাম এমপি ও কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ইলিয়াছ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শফিকুল ইসলাম ঠান্ডাসহ দলের কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পরে শহরের চকবাজারস্থ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জেলা জাতীয় পার্টির ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে যোগ দেন জি এম কাদের। এর আগে তিনি সার্কিট হাউজ পৌঁছালে তাকে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মনিরুল হাসান ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এ্যান্ড অপস) সোহেল মাহমুদের নেতৃত্বে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।