মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বললেন, ‘তিন ছক্কার কারণে আওয়ামী লীগ এখন ফুক্কা’

জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। ছবি : মাহমুদুল হাসান মুক্তা

মাহমুদুল হাসান মুক্তা, নিজস্ব প্রতিবেদক, বাংলারচিঠিডটকম : বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল লুডু খেলায় তিন ছক্কার উদাহরণ টেনে আওয়ামী লীগের উদ্দেশ্যে বলেছেন, লুডু খেলায় সবচেয়ে বড় দান হলো ছক্কা। আওয়ামী লীগ ২০০৮ ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে ছক্কা মারার পর প্রতারণা করে রাতের বেলা আরেক ছক্কা মারে ২০১৮ সালের নির্বাচনে। তিন ছক্কার কারণে আওয়ামী লীগ এখন ফুক্কা হয়ে গেছে। ওদের মধ্যে এখন আর কিছু নাই।

উচ্চ আদালতের নির্দেশনাকে অধীনস্ত আদালত এবং সরকারের অবজ্ঞায় গায়েবি মামলায় নির্বিচারে গ্রেপ্তার, মিথ্যা মামলা ও পুলিশি হয়রানি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বিদ্যুতের লোডশেডিং, আওয়ামী সরকারের সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে এবং বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তিসহ ১০ দফা দাবিতে জামালপুর জেলা বিএনপি আয়োজিত জনসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ২০ মে দুপুরে শহরের স্টেশন বাজার মোড়ে জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে এ জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়।

জামালপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ফরিদুল কবীর তালুকদার শামীমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসমাবেশে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আইনজীবী শাহ্ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন, জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সহ-সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, সদস্য সাবেক এমপি সুলতান মাহমুদ বাবু, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্মসম্পাদক শহীদুল হক খান দুলাল প্রমুখ।

শিল্পপ্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদারের উদ্ধৃতি দিয়ে মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, কামাল আহমেদ মজুমদার বলে গেছেন, কি বলে গেছেন, শেয়ার মার্কেট যে লুট করে সে নাকি এই সকরারের সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি। তিনি আরো বলেছেন, এই সরকারের মধ্যে ব্যবসায়ী একটা সিন্ডিকেট আছে। যাদের কারণে জিনিসের দাম বাড়ে। বাণিজ্যমন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী। অর্থমন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী। খাদ্যমন্ত্রী একজন ব্যবসায়ী। তাই জিনিসের দাম কিভাবে কমবে। তাদের একজন মন্ত্রীই বলেন এসব কথা। দেশের জনগণ এই সরকারের অত্যাচারের রাজত্বের মধ্যে কতটুক টিকতে পারবে সেটাই হলো বড় প্রশ্ন আজকে।

তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগনেতা ওবায়দুল কাদের নাকি বিএনপি নেতাকর্মীদের হাত ভেঙে দেবেন, পুড়িয়ে দেবেন। তাহলে আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও নেতার কথা কি মিললো? মিললো না। এজন্য শান্তি সমাবেশের নাম শুনলে একাত্তরের শান্তি কমিটির বর্বতার কথা মনে পড়ে যায়। আমরা কর্মসূচি দিলে আপনারা আমাদের পেছনে পেছনে কর্মসূচি দেন। এ কাজ তো আমরা অনেকেই করেছি যৌবনে। এখন যুবক যারা তারা করেন। বিএনপির পেছনে পেছনে লাইন মারেন নাকি? এই লাইন আমরা কেটে দেবো সময় মতো।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আমাদেরকে চিপায় ঢুকিয়ে দিয়েছেন মেইন রোড থেকে। গ্রেপ্তার করেও শান্তি পান নাই। আপনাদের পোশাকে যে মনোগ্রাম সেখানে বাংলাদেশ পুলিশ লেখা আছে। আওয়ামী পুলিশ লেখা নেই। বিএনপি পুলিশও লেখা নেই। লেখা আছে বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ র‌্যাব লেখা আছে। লেখা আছে বাংলাদেশের ডিবি, বাংলাদেশের সিআইডি। কোনো দলের না। তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সবার। একটা কথা মনে রাখবেন, তালিকা ধরে ধরে ঘরে ঘরে গ্রেপ্তার করেন, কারাগারে পাঠান, সেই তালিকা বেশিদিন করতে পারবেন না। এমন নিশ্চয়তা আপনাদের কেউ দেয় নাই। আমরাও বেছে বেছে তালিকা ধরে ধরে জনতার আদালতে হাজির করা হবে আপনাদের।